সুজন কৈরী : [৩] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাদের গ্রেপ্তার করে। ৬ জন হলেন- বাদশা মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, আকবর আলী, সুজন, নাজমুল হাসান ও লিয়াকত শেখ ওরফে লিপু। তাদের কাছ থেকে চারটি পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও টাকার হিসাব সম্মলিত দুটি নোট বুক উদ্ধার করা হয়েছে।
[৪] সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন জানান, লিবিয়ার বিভিন্ন এস্টেটে কাজ ও লিবিয়া থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশী দালালরা অন এ্যারাইভাল ও ভিজিট ভিসার মাধ্যমে লোকজনকে লিবিয়ায় পাচার করে। ভিকটিমদের লিবিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে। তাদের কান্নাকাটি, আকুতি মিনতির অডিও বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজনদের পাঠিয়ে টাকা দাবি করে। কখনো সরাসরি মোবাইলে কথা বলানো হয়। বাধ্য হয়ে আত্মীয়-স্বজনরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিটাবাড়ি বিক্রি করে টাকা পাঠায়।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মানবপাচার করতে লিবিয়ায় নোয়াখালীর কাজী ইসমাইলের নেতৃত্বে ৪৫ জনের একটি বাংলাদেশি দালাল চক্র রয়েছে। তাদের মালিকানায় রয়েছে অন্তত ২২টি নির্যাতন ক্যাম্প। দেশের ১১টি অঞ্চলে ভাগ হয়ে চক্রটি চারটি আন্তর্জাতিক রুট ব্যবহার করে ইউরোপে মানবপাচার করছে। প্রায় অর্ধশত পাচারকারী ইউরোপের ছয়টি দেশে মানবপাচার করতে ও মুক্তিপণ আদায় করতে অসংখ্য নির্যাতন ক্যাম্প চালাচ্ছে। যার ২২টি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। লিবিয়াতে যে মিলিশিয়া গ্রুপ আছে তাদের সহযোগিতায় এ ক্যাম্পগুলো চালায় তারা। তাদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :