ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইসলামী আদর্শ অবলম্বন করে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো মানুষ এবং পাথর হবে যার জ্বালানী।(সূরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)
একটি হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে আদব শিক্ষা দিয়েছেন এবং উত্তম আদব শিক্ষা দিয়েছেন আর তিনিই আমাকে জ্ঞান দান করেছেন এবং উত্তম জ্ঞান দান করেছেন।’ হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি ১০ বছর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেতমত করেছি। তিনি আমাকে কখনো উহ্ শব্দটুকু বলেননি এবং এ কথাও বলেননি যে, তুমি কেন করলে বা তুমি কেন করলে না।’
হজরত আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্দানশিন কুমারী মেয়েদের চেয়েও লাজুক ছিলেন। যখন তিনি কোনো কাজ অপছন্দ করতেন, তখন তাঁর চেহারায় আমরা সে পরিচয় পেতাম।’ বুখারি, মুসলিম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘প্রত্যেক কাজ ডান দিক থেকে সম্পন্ন করা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খুব পছন্দনীয় ছিল। যেমন পবিত্রতা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরিধান ইত্যাদি।’ বুখারি, মুসলিম। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে, যদি কেউ প্রথমে ভুলে যায় তখন খাওয়ার মধ্যে যখনই স্মরণ হয় সে যেন বলে আমি আল্লাহর নাম প্রথম ও শেষে উচ্চারণ করলাম।’ আবু দাউদ।
আপনার মতামত লিখুন :