রুমি আহমেদ : ফ্যাভিপিরাভির নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। আমি আমার বিভিন্ন মন্তব্যে এই ঔষধটার নাম ও কখনো মুখে আনি নাই। কিন্তু বাংলাদেশে এই ঔষধটা খুব ওয়াইডলি ইউজ হচ্ছে। এখন ডাক্তাররা দিচ্ছেনÑ কিছুদিন পর হয়তো মানুষ জন নিজেরাই কিনে খাওয়া শুরু করবে। ফ্যাভিপিরাভির কাজ করে কিনা তার পক্ষে শক্ত কোনো রিসার্চ এখনো হাতে আসে না। চায়নাতে একটা দুর্বল স্টাডি আছে যে পেশেন্টের সিম্পটম তাড়াতাড়ি ইম্প্রুভ করেছে ফ্যাভিপিরাভির দেয়ার ফলে আর জাপানে একটা স্টাডি আছে এটার সিরিয়াস কোনো সাইড এফেক্ট আছে কিনা তা নিয়ে। তবে ফ্যাভিপিরাভির-এর এফেক্টিভনেস যাচাই করার জন্য সিরিয়াস ট্রায়াল চলছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। আমি নিশ্চিন্ত রেমডেসিভির ট্রায়ালের মতো ভালো ট্রায়াল ও শীঘ্রই পাবো ফ্যাভিপিরাভির এর ক্ষেত্রেও।
ফ্যাভিপিরাভির এর ব্যাপারে একটা ভার্ডিক্টের জন্য আমাদের ততোদিন ওয়েইট করতে হবে। তবে ফ্যাভিপিরাভিরের ট্রায়ালে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারলে এটা একটা ভালো সংবাদ হবে। কারণ আনলাইক রেমডেসিভির, ফ্যাভিপিরাভির মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট এবং আর্লি ডিজিজে এটা নেয়া যাবে। ফ্যাভিপিরাভির এর পক্ষে তথ্য-উপাত্ত ফেমোটিডিনের মতোই দুর্বল, কিন্তু আমি ওপেনলি ফেমোটিডিন রিকমেন্ড করছি জ্বর না কমলে-কিন্তু ফ্যাভিপিরাভির রিকমেন্ড করছি না কেন? কারণ ফেমোটিডিন একটা ওভার দা কাউন্টার গ্যাস্টিক এর ঔষধ এবং এর সেফটির একটা লং ট্র্যাক রেকর্ড আছে। কিন্তু ফ্যাভিপিরাভিরের সেফটি নিয়ে আমি নিশ্চিন্ত নই। দুটো সমস্যা স্ট্যান্ড আউট করেÑ ফ্যাভিপিরাভির অনেকের ইউরিক এসিড বাড়িয়ে দিয়ে গাউটের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
আর ফ্যাভিপিরাভির জাতীয় ঔষধের একটা টেরাটোজেনিক পোটেনশিয়াল থাকতে পারেÑ কোনো মহিলা কনসিভ করার আগে পরে, প্র্যাগনেন্সির কথা না জেনে এই ওষুধটা খেলে পেটের বাচ্চার যে ক্ষতি হবে না তা নিয়ে শক্ত কোন নিশ্চয়তা নাই। রেমডেসিভির এর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে গত কয়েক মাসে ফ্যাভিপিরাভির আর রেমডেসিভির অনেক প্রেগন্যান্ট মহিলার উপর সেফলি প্রয়োগ করে হয়েছে মায়ের জীবনকে প্রায়োরিটি দিয়ে। যদি ফ্যাভিপিরাভির খেতে চান তাহলে সিম্পটম শুরু হবার তিন চারদিন পর ও জ্বর না কমে বাড়তে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শে খেতে পারেন। আর একটা কথাÑ আজ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের উপর এযাবৎ কালের সবচেয়ে বড় রেন্ডমাইজড কট্রোলড ট্রায়াল, ‘রিকোভারি’ ট্রায়াল’ এর প্রিলিমিনারি উপাত্ত একটা প্রেস রিলিজ এর মাধমে প্রকাশিত হয়েছে। এই রিসার্চ রিপোর্ট টা আবার ও দেখিয়েছে যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কোনো কাজ ই করে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :