লায়লা খন্দকার : ‘যুদ্ধ এবং মহামারীতে সামাজিক নিয়ম-কানুনগুলো ভেঙে পড়ে। তখন মানুষ এমন অনেককিছু করে যা করার কথা সে অন্য সময় ভাবতেও পারে না।’ বললেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর্থার ব্রুক্স- ‘Dealing with Disappointment and Uncertainty During a Pandemic’ সেশনে। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সাহসী হতে উদ্বুদ্ধ করে বললেন যে, নিজেদের সত্যিকারের অনুভূতি প্রকাশ করার এখনই সময়! ‘যে কথাটা দীর্ঘদিন ধরে কাউকে জানাতে চাও, কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি তা এবার ফোন করে বলেই ফেল।’-অধ্যাপকের মন্তব্য।
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি এসে অনেকেই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। কেউ কেউ নিজের জীবনের অর্থ এবং অন্যদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবে। আমি কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগত জীবনে বৈপ্লবিক কিছু করতে বলছি না। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কথা বলা এবং তাতে অংশগ্রহণের চেয়ে অনেক কঠিন সে আদর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে নিজের জীবন যাপন করা। বৈপরীত্যে ভরা মানবজীবন বড়ই জটিল।
‘বিপ্লবী’ ইমেজ আছে এবং সামাজিক ন্যায়-বিচার নিয়ে আন্দোলন করেন এমন অনেককে খুব প্রথাগত এবং হিসেব-নিকেশ করে জীবন কাটাতে দেখেছি, প্রতিদিন আপোষ করছেন। তার কারণও বুঝি। আমি শুধু হার্ভার্ডের এক অধ্যাপকের পরামর্শ জানিয়ে রাখলাম। ফেসবুকে এবং সমাজের চোখে নয়, নিজের কাছে ভাল থাকুন। আনন্দময় এবং অর্থপূর্ণ জীবন হোক সবার!
‘এসো স্মৃতি মুছে দেয়া ঢেউ, এসো অতীত ভাসানো বান/এসো ডুবে যায় কেউ কেউ, এসো তলিয়ে যাওয়ার গান। এসো শর্তহীনতা মেনে, এসো ফেলে দিয়ে রীতি-নীতি/এসো যেপথে হৃদয় চেনে, এসো নামহীন পরিচিতি। এসো তাকাবোনা আর দূরে, এসো বাঁচি এই লহমায়/এসো ক্ষণিকের এই সুরে, এসো জীবন যে চলে যায়।’
আপনার মতামত লিখুন :