ডেস্ক রিপোর্ট : [২] এনজিওগুলো করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ১০% (১৫.৬ কোটি টাকা) তাদের নিজেদের তহবিল। করোনা পরিস্থিতিতে এনজিওগুলো ১ কোটি ৪৮ লাখ মানুষকে সহায়তা করেছে।
[৩] রবিবার ‘বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে এনজিও কর্মসূচি’ শিরোনামে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে ২৫ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে এনজিও কর্তৃক করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচির একটি হিসাব উপস্থাপন করা হয়।
[৪] এতে অংশ নেয়- বিডিসিএসও প্রসেস, সিসিএনএফ (কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম), ডিজাস্টার ফোরাম, নাহাব (ন্যাশনাল এলায়েন্স ফর হিউম্যানিটারিয়ান এক্টরস ইন বাংলাদেশ), নিরাপদ (নেটওয়ার্ক ফর ইনফরমেশন, রেসপন্স অ্যান্ড প্রিপেয়ার্ডনেস এক্টিভিটিজ ইন বাংলাদেশ), এডাব (অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ) এবং এফএনবি (ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ)।
[৫] এনজিও নেটওয়ার্কের এই সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বিডিসিএসও প্রসেসের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন করেন নাহাবের টেকনিক্যাল এডভাইজার আব্দুল লতিফ খান।
[৬] জনাব আব্দুল লতিফ খান তার মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় বলেন, এনজিওরা করোনা প্রতিরোধ কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ১৫৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার ১০% (১৫.৬ কোটি টাকা) তাদের নিজেদের তহবিল। স্থানীয় সংগঠন হিসেবে দ্রুত সাড়া প্রদানের জন্য তারা এই অর্থ ব্যয় করেছেন। এই এনজিওদের মধ্যে ৫৬% হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ও বাকিগুলো অধিকার ভিত্তিক এনজিও। ৮টি বিভাগে ৪৯টি জেলায় ২১২টি এনজিওর মাধ্যমে তারা এই সহায়তা প্রদান করে।
[৭] সহায়তা কর্মসূচি সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হয়েছে রংপুর বিভাগে, এরপর ক্রমান্বয়ে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে।
[৮] সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নাহাবের ড. এহসানুর রহমান, ডিজাস্টার ফোরামের জনাব গওহর নইম ওয়ারা, সিসিএনএফের জনাব আবু মোরশেদ চৌধুরী ও জনাব বিমল চন্দ্র সরকার, নিরপদের জনাব হাসিনা আখতার মিতা, এডাবের জনাব একেএম জসিম উদ্দীন এবং এফএনবির জনাব রফিকুল ইসলাম।দেশ রূপান্তর, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :