শিমুল মাহমুদ: [২] নিউইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, আমি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আত্মীয় না, আমার কোন আত্মীয় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আত্মীয় না। আমি এমপি বা মিনিস্টার হতে আসিনি, আমি চেয়েছি বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করতে। আমার শিক্ষা এবং মেধা মানুষের কাজে লাগাতে। সেটা যদি অপরাধ হয় আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে অপমান করবেন না। এটা আমার প্রাপ্য না।
[৩] তিনি বলেন, ফেসবুক ও কিছু অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্ণেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি সনামধন্য জেলা।
[৫] কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোন সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি ,তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের সরকার, তাহলে পাশে থাকুন।
[৬] এর আগে এর পোষ্টে তিনি লিখেন, 'দুনিয়াতে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা বা সুযোগ সবার আসে না। আমি সেই ভাগ্যবান মানুষদের একজন হতে চেয়েছি, যারা দেশ মাকে ভালোবেসে, দেশকে ভালোবেসে বোঝাতে চেয়েছি, ভালোবাসা অমূল্য। বড্ড ভালোবাসি মা তোমায়। আর তাই তো এই সামগ্রীগুলো দেশের সম্মুখসারীর যোদ্ধাদের জন্য বড় যত্ন করে নিয়ে যাচ্ছি সাথে করে। আলো আসবেই। আমি আসছি। দেখা হবে বাংলাদেশ।
[৭] ডা. ফেরদৌস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় মুখ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। করোনা মহামারির পর তার পরিচিতিও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে। বিভিন্ন সময় তিনি সুপার হিরো উপাধিও পান। সবশেষ তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন এই করোনাকালে বাংলাদেশে ফেরার ঘোষণা দিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :