শিমুল মাহমুদ : [২] রোববার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শওকত আলী আরমান আমাদের সময় ডটকমকে জানান, দুপুরে চিকিৎসকরা ডা. জাফরুল্লাহকে দেখতে গিয়েছিলেন। সমস্যা হলো তাকে প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেরাপি লাগছে। আগে সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালাইসিস লাগলেও পরিস্থিতি সাপেক্ষে এখন প্রতিদিন করতে হচ্ছে।
[৪] তার ফুসফুসে ইনফেকশন আছে সেগুলো ইমপ্রুভ হতে সময় লাগবে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নন।
[৫] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ জানান, ডা. জাফরুল্লাহ আগের মতই আছেন। এখনও অক্সিজেন সাপোর্ট চলছে। প্রয়োজনে দুই-চারটা কথা বলছেন। সকালে নিজেই নাস্তা করেছেন।
[৬] এরআগে শনিবার রাত ১০টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যদিও তিনি এখনও পুরো ঝুঁকিমুক্ত নন। তাকে শুক্রবার রাতে ডায়ালাইসিস দেয়া হয়েছে এবং প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। আজ আবারো ডায়ালাইসিস দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন থেরাপি লাগছে।
[৭] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে রেপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে বিএসএমএমইউর পরীক্ষায় জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ৭৯ বছর বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা ২৯ মে থেকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :