লিহান লিমা: [২] করোনা মহামারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাতের উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস সতর্ক করে বলেন, মহামারীর সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাবের কারণে কোটি কোটি মানুষ তাদের জীবনধারণের সংস্থান হারাবে। এক দশকেও এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। বিবিসি
[৩] গত মে মাসে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছিলো, করোনার কারণে ৬ কোটি মানুষ চরম দারিদ্রতার সম্মুখীন হবে। প্রতি দিন ১.৯০ ডলারেরও কম অর্থে জীবনযাপন করা ব্যক্তিদের চরম দরিদ্র বলে আখ্যা দেয় বিশ্বব্যাংক।
[৪] শুক্রবার এক সাক্ষাতকারে মালপাস বলেন, ৬ কোটিরও বেশি মানুষ দিন প্রতি ১ ডলারেরও কম অর্থে জীবনযাপন করবেন। এটি অর্থনীতির জন্য এক ধ্বংসাত্মক আঘাত। মালপাস আরও বলেন, করোনাভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে কোটি কোটি মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাত ও সামাজিক পর্যায়ে এর প্রভাব উদ্বেগ জনক। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার প্রভাবিত হচ্ছে। দরিদ্র দেশের জনগণ শুধু বেকারই হচ্ছে না সেই সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক খাতেও কাজ খুুঁজে পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি আগামী এক দশক ধরে চলতে পারে।
[৫] বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা এবং এর কারণে মন্দার প্রভাবে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান বাজার অর্থনীতির দেশগুলোতে আর্থিক সংকট, উৎপাদন সক্ষমতা এবং রপ্তানীর ওপরে স্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, এসব দেশের উৎপাদন সক্ষমতা কমবে ৫ বছর মেয়াদে ৮ শতাংশ করে। উদীয়মান তেল রপ্তানিকারকদের রপ্তানি কমবে ১১ শতাংশ। ভয়েস অব আমেরিকা
[৬] ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোকে দেয়া বিশ্বব্যাংক ও সহযোগী দেশগুলোর সহায়তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন মালপাস। তিনি বাণিজ্যিক ঋণদাতাদের দরিদ্র দেশগুলোকে ব্যাংক ও পেনশন তহবিলের মতো ঋণ ও ত্রাণ দেয়ার জন্য আহবান জানান। মালপাস চান, তারা ঋণের শর্তাদি আরও স্পষ্ট করুক, ফলে বিনিয়োগকারীরা দরিদ্র দেশগুলোকে আত্নবিশ্বাসের সঙ্গে সাহায্য করতে পারে।
[৭] মালপাস মনে করেন সঠিক সময় সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :