রাহুল রাজ : [২] মাঠে ফিরতে মরিয়া টিম টাইগার। ক্রিকেটারদের মেডিকেল ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং বিভাগ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে দুই দিনের প্রস্তুতিতেই তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে পারবেন বলে মনে করছে বিসিবি মেডিকেল বিভাগ।
[৩] নতুন নিয়মে খেলোয়াড়দের একক বা সলো অনুশীলন করতে হবে। পরে গ্রুপ অনুশীলন ও বোলারদের নিয়ে অনুশীলনের বিষয় চিন্তা করতে বিসিবি। একক অনুশীলন হবে নেটে দূরত্ব বজায় রেখে। অনুশীলনে একজন ক্রিকেটারের জন্য সময় বরাদ্দ থাকবে এক ঘণ্টা করে। একজন সুপারভাইজার, ট্রেনার ও ফিজিওর উপস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রিকেটাররা ফিটনেস ও স্কিল ট্রেনিং সারতে হবে। এর বাইরে আর কেউই মাঠে থাকবেন না।
[৪] বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথমে হচ্ছে একক ট্রেনিং। মানে পুরোপুরি আইসোলেশনে থাকবে খেলোয়াড়েরা। থাকবে নিদৃষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার বাদ্ধবাধকতা। পরিকল্পনাগুলো ক্রিকেটারদেরকে আগে দিয়ে দেয়া হবে। একক অনুশীলনের মেয়াদ শেষ হলে শুরু হবে দলগত অনুশীলন। যেখানে অনুমতির উপর ভিত্তি করে প্লেয়ারদের সংখ্যাটি বেশিও হতে পারে।
[৫] গতসপ্তাহে মুশফিক রহিম বিসিবির কাছে আবেদন করেছেন একা অনুশীলন করার বিষয়ে ছাড়পত্র চেয়ে। তিন মাস অতিবাহিত হতে চলল খেলার বাইরে টাইগার ক্রিকেটাররা। লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় সব অনুশীলন। পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রন করতে পারলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় টাইগাররা শুরু করতে পারবে একক অনুশীলন।
[৬] বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, মুশফিকসহ অন্য ক্রিকেটারদের জন্য অনুশীলনের ব্যবস্থা চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই করে দেয়া সম্ভব হবে। এদিকে আইসিসির প্রকাশিত গাইডলাইন সবাই অনুসরণ করছে না। শ্রীলঙ্কা অনুশীলন শুরু করেছে ১৩ জন নিয়ে। দেশটি ইতোমধ্যে করোনা ভীতি কাটিয়ে লকডাউন ও জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নিয়েছে। মাঠে ক্রিকেট ফেরাতেও উদ্যোগ নিচ্ছে দেশটি। এ অবস্থায় আগামী মাসে সিরিজ চাইছে লঙ্কানরা। এখন বাংলাদেশ মত দিলেই তৈরি হয়ে যাবে সিরিজের সূচি।
আপনার মতামত লিখুন :