মো. আখতারুজ্জামান : [২] বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মাঝেও এমিরেটস এয়ারলাইনের অন্যতম একটি অঙ্গীকার হলো বন্য প্রাণীকে তার নিজস্ব পরিবেশে স্থান করে দেয়া।
[৩] এ লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ইউনাইটেড ফর ওয়ার্ল্ড লাইফ, রুটস এবং ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল এন্ড ট্র্যরিজম কাউন্সিলরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে এয়ারলাইনটি।
[৪] নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী প্রজাতি, ট্রফি হান্টিং এবং বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত বেআইনি কোন পণ্য পরিবহণে এমিরেটস কোন আপোষ করে না। এয়ারলাইনটির রয়েছে প্রশিক্ষিত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং স্টাফ, সন্দেহজনক কার্গো চিহ্নিতকরণ ও রিপোরটিং-এর জন্য প্রশিক্ষিত ২,৫০০ এর অধিক এয়ারপোর্ট সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা। বেআইনি ট্রেডিং প্রতিরোধে এমপ্লয়ীরা সরাসরি স্বতন্ত্র রিপোরটিং চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।
[৫] অস্ট্রেলিয়ার বিরল প্রজাতির জীব ও উদ্ভিত সংরক্ষণে এমিরেটস নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত কনজারভেশন ভিত্তিক রিসোর্টে দশ বছরের অধিক সময়ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ভলগান ভ্যালি নামক এই রিসোর্টে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় গত বছর দেশটিতে সংঘঠিত ভয়াবহ দাবানলকালে ১০ লক্ষাধিক বীজের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে এমিরেটস।
[৬] ব্যাংকটিতে ২৫টি স্থানীয় প্রজাতির বীজ সংরক্ষণ করা হয়, যা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পুনরায় বনায়নে সহায়তা করবে। এমিরেটস স্থানীয় প্রজাতির বন্য প্রাণীর অন্বেষণ, সুরক্ষা ও পুনরায় তাদের বসতি স্থাপনে সহায়তার লক্ষ্য নিয়ে ২০ বছরের অধিক কাল ধরে দুবাই ডেজার্ট কনজারভেশন রিজার্ভের সঙ্গে কাজ করছে।
[৭] কার্বন নির্গমন হ্রাস এমিরেটসের টেকসই পরিবেশে কৌশলের একটি অন্যতম অংশ। এ লক্ষ্যে এয়ারলাইনটি উন্নত প্রযুক্তির ও নবীন উড়োজাহাজের একটি বহর পরিচালনা করছে। বহরে উড়োজাহাজের গড় বয়স ৬.৮ বছর। এর সঙ্গে রয়েছে ব্যাপক জ্বালানী দক্ষ কার্যক্রম, যার লক্ষ্য হলো জ্বালানীর অপ্রয়োজনীয় দহন ও নির্গমন যথাসম্ভব কমিয়ে আনা।
আপনার মতামত লিখুন :