শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২০, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২০, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমান : ফাইটার জেটের সঙ্গে পাল্লা দেবে ড্রোন?

ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি পাইলট চালিত বিমানের সঙ্গে পাল্লা দেবে একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় বিমান। ২০২১ সালে এই মহড়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। নয়া দিগন্ত

এই প্রকল্প সফল হলে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে কোনো পাইলট ছাড়াই যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা যাবে।

পেন্টাগনের জয়েন্ট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহান এই মহড়াকে এক ‌‘সাহসী চিন্তা-ভাবনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

এয়ারফোর্স ম্যাগাজিনও স্বয়ংচালিত যুদ্ধবিমানকে এক বিরাট যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করছে।

মিচেল ইনস্টিটিউট ফর এরোস্পেস স্টাডিজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহান বলেন, এই প্রকল্পের যিনি প্রধান, তার সঙ্গে গত সপ্তাহে তার ইমেইল চালাচালি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, একটি পাইলট চালিত যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে আকাশে একটি চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধ বিমানের পাল্লা দেয়া হবে। সেখানে হয়তো খুব বেশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন মানুষ এবং মেশিন যৌথভাবে কাজ করে একটা বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসবে।

এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর লক্ষ্য ছিল পাইলট ছাড়াই যুদ্ধবিমান পরিচালনা।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এখনো এটিই তাদের লক্ষ্য কীনা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তার জানা নেই, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্যভাবেও কাজে লাগানো যায়।

“হয়তো আমরা একটা ৬৫ ফুট লম্বা পাখাওয়ালা বিমানের কথা ভাবছি না, এটা হয়তো আকারে অনেক ছোট একটা স্বয়ংক্রিয় বিমান‍।”

একটি পাইলটের অধীনে হয়তো এরকম এক ঝাঁক ড্রোন মোতায়েন করা যেতে পারে। স্কাইবর্গ নামের একটি মার্কিন সামরিক প্রকল্প এ ধরণের চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করছে। একটি যুদ্ধবিমানের পাইলটকে অনেকগুলো ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ দেয়া হবে এবং আকাশে এগুলো যুদ্ধবিমানের পাশে সহকারীর মতো কাজ করবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা চলছে। এসব প্রকল্প তারই অংশ।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহান বলছেন, এর মানে এই নয় যে প্রচলিত যুদ্ধবিমানগুলো রাতারাতি পাল্টে ফেলা হবে। তারা এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়াবে।

ইলন মাস্কও এবছরের শুরুতে এ বিষয়ে কিছু আভাস দিয়েছিলেন। তিনি এক সামরিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ফাইটার জেটের দিন শেষ হয়ে এসেছে।

মিস্টার মাস্ক বলেছিলেন, যুদ্ধবিমান ‌‘এফ-৩৫’ এর প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে একটি ড্রোন, যেটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে একজন মানুষ। তার মতে এরকম একটি ড্রোনের সঙ্গে এফ-৩৫ পেরে উঠবে না।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহান বলেন, বাণিজ্যকভাবে এখন স্বয়ংচালিত গাড়ি নিয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে সামরিক খাত।

তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে গত এক দশকে দশটি কোম্পানি মিলে প্রায় ১৩ হতে ১৭ বিলিয়ন ডলার গবেষণার পেছনে খরচ করেও একটি লেভেল-৪ স্বয়ংচালিত গাড়ি তৈরি করতে পারেনি।

লেভেল-৪ গাড়ি হচ্ছে এমন ধরণের স্বয়ংচালিত গাড়ি, যেটিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে কোনো ড্রাইভারের মনোযোগের ওপর নির্ভর করতে হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়