সিরাজুল ইসলাম : [২] পূর্ণিমার কারণে বলেশ্বর নদীতে পানির চাপ অত্যন্ত বেশি। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বগী গ্রামে পানি ঢোকে।
[৩] এ গ্রামের শাহজাহান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে কয়েকদিন পানিবন্দী ছিলাম। অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করেছি। কিন্তু আবার হঠাৎ জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর প্লাবিত হলো। এভাবে হতে থাকলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।
[৪] ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, জোয়ারে পানি বেড়ে ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানকার মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না বন্ধ আছে। যাদের সুযোগ আছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে। এই অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে।
[৫] শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তাফা শাহিন বলেন, লোকালয়ে পানি ঢোকা ঠেকাতে খুব শিগগির ভাঙা স্থানগুলো মেরামত শুরু করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ করা হবে।
[৬] ২০ মে আম্ফানের আঘাতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার বগি ও গাবতলা গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধের অনেক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
আপনার মতামত লিখুন :