শিরোনাম
◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ আদনান ফাহাদ : জিডিপির কতো শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়? উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ কতো? গবেষণার জন্য কতো?

শেখ আদনান ফাহাদ

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার নামে গণহারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয় এখানে। র‌্যাংকিং নিয়ে এতো কথা বলা হয়। কতোজন পাস করলো, কতোজন ম্যাজিস্ট্রেট হলো, পুলিশ হলো, সাংবাদিক হলো তা দিয়ে সম্ভবত র‌্যাংকিং হয় না। র‌্যাংকিং হবে গবেষণা দিয়ে। জুনিয়র শিক্ষকরা ৫-৬টি করে কোর্স পড়ায় কোনো কোনো বিভাগে। অনেক বিভাগের ক্লাসরুম পর্যন্ত নাই, শিক্ষকদের বসার জায়গা নাই। রাষ্ট্র কি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বা দেয়? জিডিপির কতো শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়? উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ কতো? গবেষণার জন্য কতো? আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আদৌ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিনা? নাকি গণশিক্ষা প্রতিষ্ঠান? উচ্চ শিক্ষার অর্থ কি অনার্স মাস্টার্স পাস করা? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে রিসার্চ ইউনিভার্সিটি মানে কী? মন্তব্য করার আগে র‌্যাংকিং কীভাবে হয় সবাই একটু জেনে নিন।
আর কিছু প্রশ্ন নিজেদের কাছে। যদিও পোস্ট পাবলিক। যখন বড় বড় গবেষণা করার কথা তখন বড় বড় স্যার/ ম্যাডামদের একটা অংশ করে শয়তানি। কে কারে ল্যাং মেরে ফেলে দিবে, কে কার দল ভারি করবে এটা নিয়েই সব টেনশন আর নোংরামি। আমাদের শিক্ষকরা বিদেশে গিয়ে ভালো গবেষণা করে আর র‌্যাংকিং ভালো হয় বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিদেশ থেকে বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে এসেও অনেক শিক্ষক স্বদেশে শয়তানি অব্যাহত রাখেন। নিজের কর্মস্থলকে নোংরামির কেন্দ্র বানিয়ে রাখেন। পিএইচডি করতে গেলে বাধা দেন। নিজের কলিগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন।
একে অপরের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার রেকর্ড পর্যন্ত আছে। কোনো কোনো প্রফেসর আছেন যারা রাঘব বোয়াল ছাড়া পিএইচডি স্টুডেন্ট নিতে চান না। পারলে নিজেই থিসিস লিখে দেন সেই প্রভাবশালী ‘ছাত্রের’। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি যেসব শিক্ষক খুব আন্তরিক, রাজনীতি ছাড়াই ভালোবাসেন, আন্তরিকতার সাথে স্বপ্ন নিয়ে পড়াশুনা করেন এবং করান, একটা বিভাগকে তৈরি করেন, তাদের কথা কিন্তু র‌্যাংকিংয়ে আসে না। আসবে না। কারণ র‌্যাংকিং হয় গবেষণা দিয়ে। কতো ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি হলো, হলের পাতলা ডাইল খাইল আর ডিগ্রি নিয়ে বের হল সেটি নিয়ে সম্ভবত র‌্যাংকিং হয় না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়