শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মনজুরুল আজিম পলাশ : নান্দনিকতা কি বড়লোকি!

মনজুরুল আজিম পলাশ

আমি আমাদের কাজের সহযোগী বুয়াকে শিখিয়েছি কাপড় শুকাতে দেয়ার সময় কাপড়ের রঙের সাথে মিলিয়ে এবং এক কাপড়ে একইরকম/রঙের ক্লিপ ব্যবহার করতে। প্রথমদিকে সে এটাকে একধরণের ‘বড়লোকি খেয়াল‘ ভাবলেও এখন নিজেও কিছুটা উপভোগ করে! যা দেখতে ভালো দেখায় তার একটা প্রভাব পরে সবার মধ্যেই। নান্দনিকতা এর অনিবার্য অংশ বটে।
নান্দনিকতা মোটেও বড়লোকি নয়। বরং টাকা সর্বস্ব বড়লোকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনান্দনিক বা এমনকি প্রতি-নান্দনিক হোন। কিছুদিন আগে ভারতে একজন শিল্পী প্রতিষ্ঠিত এক স্থাপনায় গিয়ে দম বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছিল শিল্পের জঞ্জাল আর অত্যাচার দেখে। একারণে কংক্রিটের প্রাসাদের চেয়েও একটা কুঁড়েঘর কখনো আমাদের কাছে অধিক নান্দনিক হয়ে দেখা দেয়! দুনিয়াব্যাপী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিয়ে জানি—শহরের অশ্লীল দালান আয়োজন থেকেও প্রাকৃতিক-প্রান্তিক জায়গাগুলোই এখনো অনেক বেশি নান্দনিক মনে হয়! নান্দনিকতা তাহলে কি? আমি কারো কাছ থেকে কোন সংজ্ঞা ধার না করেই বলবো—এটা প্রথমত দৃশ্যমানতার একটা ভারসাম্য সৃষ্টি যা আমাদের অবচেতন মনকে প্রশান্তি দেয়। সচেতনভাবে এটা করা কিন্তু কঠিন একটি কাজ! পৃথিবীতে নব্বইভাগ ক্ষেত্রেই কোনকিছু সাজাতে গিয়ে বিশ্রী করে ফেলবার ঘটনা ঘটে। মানে এমনিতে একটা কিছু সুন্দর কিন্তু যেই মানুষের হাত পরলো বিশ্রী হয়ে উঠলো! উন্নয়নের হোয়াইট ওয়াশ যাকে বলে। বাস্তব জীবনে আমরা এর হাজারটা উদাহরণ পাই। প্রকৃতি-প্রান্তিকতা এমনিতেই কিন্তু নান্দনিক। একটা ভারসাম্য সেখানে থাকবেই। কিন্তু নান্দনিকতার সচেতন প্রয়াস সত্যি খুব কঠিন কাজ! আমাদের দেশের ইন্টেরিয়র ফার্মগুলো নান্দনিকতার যে দায়িত্ব বা প্রয়োগ-অধিকারের চর্চা করছে তা মূলত অর্ধশিক্ষিত কর্পোরেট বোধের উপর নিজেদের অযোগ্যতার ছড়ি ঘোরানো ছাড়া কিছুই নয় যে বিষয়টি নিয়ে পরে কখনো বিস্তারিত লিখবার ইচ্ছা থাকলো। সৃষ্ট নান্দনিকতার মধ্যে বাস করা সহজ হলেও সচেতনভাবে নান্দনিকতা সৃষ্টি বা অর্জন করা দুরহ একটি বিষয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়