দীপু তৌহিদুল
মন্ত্রীপরিষদ, মন্ত্রী পরিষদের মিটিং-সিদ্ধান্ত, মন্ত্রিদের প্রশাসনিক ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা থাকলে, আজকে কেউ একক কোনো মন্ত্রীর সমালোচনা করতে পারতো না। প্রশাসনিক ভিত্তিগুলো ক্লাস ওয়ান টু-থ্রি ( রূপক ) র মতন করেই সাজানো রয়েছে। চাইলেই একজন মন্ত্রী যা ইচ্ছে তাই করে ফেলতে মোটেও সক্ষম নন। মন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত সরাসরি ক্যাবিনেট মিটিং এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে গ্রহণ করা হয়। সহজ ভাবেই বললাম, বাকিটা ঘটে কিছু থাকলে বুঝতে সহজ হবে। তবে এটাও সত্যি কোনো কোনো সময় মন্ত্রীরা নিজেদের ভাব দেখাতে গিয়ে মিডিয়ায় একটু বাড়তি বলেন, যেটা আসলে তার রাজনৈতিক সরকারের নয় একান্তই ব্যাক্তিগত বক্তব্য - এই বক্তব্যটাই রেফারেন্স হিসেবে থেকে যায় বলে ভবিষ্যতে নাগরিক ও ভিন্ন দলের নেতারা দু কথা শুনিয়ে দিতে পারে।
যে মন্ত্রীরা খবরের শিরোনাম হতে খুব পছন্দ করেন তারাই এলোমেলো বক্তব্য বেশি দেয় বলে আমার ধারণা। আর তাই সব কথার উপর গুরুত্ব না দিয়ে সরাসরি ক্যাবিনেটে নেয়া সিদ্ধান্ত এবং প্রাইম মিনিস্টারের সিদ্ধান্তর উপর ফোকাস রাখতে বলি। অহেতুক এরে-তারে নিয়ে গলাবাজি করতে গেলেই আপনার আসল ফোকাস নড়ে যাবে। কেউ ক্রমাগত ফাতরা কথা বললে বাস্তবে আমরা কী করি? কখনোই তার কথাকে পাত্তা দিই না দিয়ে আসল ত্রুটিগুলো কোথায় কোথায় হচ্ছে তা নিয়ে ভাবি। চিন্তার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বারবার ভুল জায়গায় করলে স্টেশন অবশ্যই মিস করবেন।
করোনা মহামারীর ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর উপর এখন নাগরিকের ভাগ্য পুরোটা জড়িত। এই সিদ্ধান্তগুলোর ভিত্তিতেই সবার ভালো কিংবা মন্দ ঘটবে। মনে রাখবেন সকল সিদ্ধান্ত নাগরিকরা নয়, রাষ্ট্র যারা চালায় তারাই যৌথভাবে গ্রহণ করে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :