শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. নাজনীন আহমেদ : উন্নয়ন কার জন্য, যদি দুর্দিনে আপনারা কোনো কাজে না লাগলেন?

ড. নাজনীন আহমেদ : আমি জানতাম তৈরি পোশাক খাত এদেশের অর্থনীতির বড় শক্তি। আর সে খাতের উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতির বড় ভরসার জায়গা। অথচ করোনাভাইরাসের প্রভাব জনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতা শুরু হতে না হতেই প্রথম সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে অর্থনীতির এই শক্তিশালী খেলোয়াড়রাই। অর্ডার নাই এই অসহায়ত্ব দেখিয়ে শ্রমিকের বেতন দেয়ার জন্য সরকারের নিকট থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা মাত্র ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জে পেয়ে তারপর ফ্যাক্টরি খোলার তোড়জোড় শুরু হলো। এর মাঝে শ্রমিকদের নিয়ে নির্মম অনেক নাটক দেখেছে আমার মতো বোকা দর্শক।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে আবার চলছে ফ্যাক্টরি। পোশাক কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিক কাজ করে ৪ থেকে ৭ নং গ্রেডে। ফলে গড়ে একজন শ্রমিকের মূল বেতন দাঁড়ায় মাসে ৮৯০০ টাকার মতো। সরকারের প্রণোদনা পাওয়ার পরেও অনেক ফ্যাক্টরি ঠিকমতো বেতন দেয়নি, আবার ঘোষণা দিয়ে এপ্রিল মাসের বেতন ৬০ শতাংশ দেয়া হয়েছে। এখন বিজিএমইএ সভাপতি বলছেন, জুন মাস থেকে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হবে, মালিকদের নাকি কিছুই করার নাই (সূত্র : ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকা)। অর্থাৎ, মাত্র ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিয়ে শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য যতোটুকু অর্থ পাওয়া গেছে তা দেয়ার পর, এক পয়সাও নিজের পকেট থেকে খরচ করতে চান না তারা। এখন এই দুর্দিনে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে না পারলে কীসের শক্তিশালী শিল্পপতি? অর্ডার যদি অর্ধেকও হয়ে যায় তারপরও এতো বছর ব্যবসা-বাণিজ্য করে শ্রমিকের কয়েক মাসের বেতন চালানোর মতো ক্ষমতা কি তৈরি হয়নি? না হয় নিজের সঞ্চয় থেকে কিছু খরচ হলো।
বিভিন্ন সময় যখনই নি¤œতম মজুরি বেড়েছে, বাড়িয়ে দেয়া দেয়া হয়েছে দৈনিক পোশাক তৈরির টার্গেট। শ্রমিকের উপরে পড়েছে বাড়তি চাপ। শ্রমিক তার শরীরের সঞ্চিত শক্তি দিয়ে বাড়িয়েছে মালিকের লাভ আর সঞ্চয়। এখন না হয় কটা মাস কম অর্ডার এর কাজ শ্রমিকরা একটু হেসে খেলে করলেন, একটু স্বস্তিতে কাজ করলেন। শ্রমিকদেরকে কয়েক মাসের জন্য এইটুকু স্বস্তি দেয়ার ক্ষমতাও কি মালিকদের নেই? জাতির এই দুর্দিনে শ্রমিকদের পাশে যদি শিল্পপতিরা না দাঁড়ান তবে আমাদের জনগণের টাকায় কেন দেবো ক্যাশ সাবসিডি, প্রণোদনা কিংবা রপ্তানি উন্নয়ন ফান্ডের টাকা? উন্নয়ন কার জন্য, যদি দুর্দিনে আপনারা কোনো কাজে না লাগলেন? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়