ডেস্ক রিপোর্ট : [২] শনিবার (৬ জুন) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ও সংখ্যা বিবেচনায় কক্সবাজার জেলা এই মুহূর্তে ৪ (চার) নম্বরে রয়েছে। গত ৬৩ দিনে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে মোট সাত হাজার ৩৫১ জন সন্দেহভাজন রোগীর কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ৯৫৮ জনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
[৩] কক্সবাজার জেলায় ইতোমধ্যে ৮৭২ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়েছে। তারমধ্যে ২৭৫ জন হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভার। এছাড়া মহেশখালীতে ৩৪ জন, টেকনাফে ৪১ জন, উখিয়ায় ১১০ জন, রামুতে ৫৩ জন, চকরিয়ায় ১৮৯ জন, কুতুবদিয়ায় তিন জন এবং পেকুয়ায় ৪৭ জন রয়েছে। এর সাথে আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৯ জন রোহিঙ্গা।জেলায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৯ জন, এরমধ্যে ১৩ জন হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভার বাসীন্দা।’
[৪] কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া ৯৫৮ জনের মধ্যে অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলাসহ চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও, সীতাকুঞ্জ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসীন্দা।
[৫] জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে কক্সবাজার পৌরসভা এখন অতি মাত্রায় ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে ম্যাপিং করা হয়েছে; সেখানে কক্সবাজার পৌরসভা রেড জোনের মধ্যে পড়ে। সে কারণে কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি, জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, এমপি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সবার সাথে কথা বলে এই রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
[৬] আগামী দু’সপ্তাহ শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজন যানবাহন সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। অন্যসব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এর একমাত্র উদ্দেশ্যে হলো করোনা সংক্রমণের হারটা যাতে কমে আসে। সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
[৭] নাগরিকদের উদ্দেশ্যে করে জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ জানাচ্ছি, রেড জোন ঘোষণা করে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন করে প্রশাসন যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছে সেগুলো মেনে চলুন। কক্সবাজারে করোনা সংক্রমণের দ্রুত যে হার, সেটা কমিয়ে আনার জন্য সবাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :