সমীরণ রায় : [২] জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে আরও বলেন, জাতীয়তাবাদী সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণির প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও মারমুখি ভূমিকা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম, স্বাধিকার সংগ্রাম, স্বায়ত্বশাসনের সংগ্রামকে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে ও অতিক্রম করে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়ার পথনির্দেশ করে দিয়েছিল।
[৩] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তৎকালীন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রণয়ন ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু অতি উচ্চ মেধা ও সুক্ষ রাজনৈতিক কৌশলের প্রয়োগ করেছিলেন। পাকিস্তানিদের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ৬ দফা প্রত্যাখ্যান করা কিংবা মেনে নিয়ে হজম করা সম্ভব ছিল না। বরং ৬ দফা পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই জাতিগত নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামকেও শক্তি যুগিয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে আধুনিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল, ৬ দফার মধ্য দিয়ে সেই ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক রূপ লাভ করেছিল।
[৫] তারা বলেন, ৬ দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুসহ নেতৃবৃন্দকে কারাবন্দি করা হয়, বাইরে থাকা অন্যান্য নেতাদের দোদুল্যমানতা, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের বিরোধিতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরম শূন্যতার মধ্যে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস হিসাবে পরিচিত সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের স্বাধীনতাপন্থী ধারার নেতাকর্মীদের সুদূরপ্রসারী চিন্তা, দুঃসাহসিক ভূমিকা ও অক্লান্ত পরিশ্রমেই ৬ দফার পক্ষে শ্রমিক শ্রেণি, বস্তিবাসীসহ সাধারণ মানুষকে ৬ দফার পক্ষে টেনে আনা ও ৭ জুনের হরতালে রাজপথে সংগ্রামে অবতীর্ণ করা সম্ভব হয়েছিল।
[৬] তারা ঐতিহাসিক ৭ জুনে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াসের তিন কাণ্ডারি সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদসহ তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আপনার মতামত লিখুন :