ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] শিশুরা তাদের অভিভাবকদের কাছে বেড়াতে যাওয়া বা গ্রামে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলছে। সারাক্ষণ ঘরে থাকা এসব শিশুদের একমাত্র খেলার জায়গা এখন বারান্দা। সেখানে থেকেই রাস্তায় মানুষের চলাচল দেখে আর নানা খেলায় ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
[৩] এরআগে, ১৮ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ করে দেয়া হয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে শুরু হয় শিশুদের ঘরবন্দি জীবন। একঘেয়েমী জীবনে শিশুদের মেধাবিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এমনটাই মনে করছেন অভিভাবক ও শিশু বিশেষজ্ঞরা।
[৪] যে শিশুরা স্কুল থেকে এসে গোসল সেরে দুপুরের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়তো। ঘুম থেকে উঠেই সোজা পাড়ার মাঠে গিয়ে কোলাহলে মেতে উঠতো। সেই শিশুদের নিত্যদিনের চিত্রটা এখন বদলে গেছে। স্কুল নেই, হাউজ টিউটর নেই। নেই বিকেল বেলায় পাড়ার ওলিগলিতে শিশু-কিশোরদের হৈচৈ আর কোলাহল।
[৫] দীর্ঘ সময় ঘরে থাকায় টিভির প্রোগ্রাম দেখতেও এখন অনেকটাই বিরক্ত তারা। আবার বিভিন্ন পেশাজীবী বাবা-মাকে অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে। এতে শিশুদের জন্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি।
[৬] অভিভাবকরা বলছেন, ঘরবন্দি জীবনে শিশুরা মানসিকভাবে ভালো থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। দেশব্যাপী এমন দুর্যোগে তাদের ভেতরেও অবশ্যই ভয়ভীতি কাজ করে। তাই শিশুদের সঙ্গে বেশি কড়া শাসন না করে বুঝিয়ে ঘরে রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :