সুজিৎ নন্দী ও আব্দুল্লাহ মামুন: [২] বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর পর কোনো কোনো গাড়ীর ব্যবসা ভালো হচ্ছে, কোনো গাড়ীর খারাপ। রংপুর টু ঢাকা ব্যবসা ভালো হচ্ছে তবে ঢাকা থেকে রংপুর, চট্টগ্রাম ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না।
[৩] বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান এমপি বলেন, চাঁদাবাজি না হলে বাস মালিকদের লাভ হবে এটাই স্বাভাবিক। আমার কাজ এখন পরিবহন চাঁদাবাদ বন্ধ করা। নিয়ম ২০ টাকা চাঁদা নেয়া, কিন্তু নেয়া হতো ২শ’ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। আইজিপির সঙ্গে সভা করা হয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
[৪] শাহজাহান খান আরো বলেন, প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে চাঁদাবাজ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শনিবার শিমুলিয়া ঘাটে প্রতিট্রাক ১২শ’ টাকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছেল। এ সময় পুলিশ দুজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।
[৫] মালিক সমিতির সভাপতি রাঙ্গা আরো বলেন, ঢাকার লোকাল বাসগুলোকে অনেক চেষ্টা করে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে, এরপরও যেসব জায়গায় পুলিশ, বিআরটিএর লোক থাকে না সেখানে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে বসে। আইজিপির নির্দেশ অনুযায়ী সংগঠন থেকে চাঁদা তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেশের সব জায়গায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
[৬] তিনি আরো বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমে গেছে এখন যদি সরকার তেলের দাম কমায়, এতে শুধু বাস মালিকরা না জনগণেরও অনেক সুবিধা হবে যেমন, ব্যক্তিগত গাড়ীতে তেল খরচ কমবে এবং গণপরিবহনে ভাড়া কমানো সম্ভব হবে।
[৭] একই বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, স্বাভাবিক সময়ের থেকেও লোকাল এবং ইন্টারডিস্ট্রিক্ট সব জায়গায় ব্যবসা অনেক খারাপ যাচ্ছে। দুই মাসেরও বেশি সময় বাস বসে থাকলে মেরামতের খরচ বৃদ্ধি পায়।
আপনার মতামত লিখুন :