আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] হোসেনপুর -পাকুন্দিয়া হয়ে ঢাকাগামী জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় কাওনা ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রতিনিয়ত শতশত যানবাহন ,স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারী চরম উৎকন্ঠায় ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে যানবাহন উল্টে খাদে পড়ে ,ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর শঙ্কা। তাই দ্রুত ব্রীজটি সংস্করণের প্রতিকার চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
[৩] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল -হোসেনপুর- পাকুন্দিয়া হয়ে ঢাকাগামী জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও ব্রীজ সহ সংস্করণের জন্য ডলি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেও এখন পর্যন্ত হোসেনপুর-পাকুন্দিয়া রাস্তা ও ভাঙ্গা ব্রীজটি সংস্করণ করছে না ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে দেখা দিয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা।
[৪] সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার কাওনা ব্রীজটি ঘুরে দেখা যায়, ব্রীজের উপর কয়েকটি জায়গায় ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত ও ফাটল ধরেছে। দুর্ঘটনার কবল থেকে যানবাহন ও পথচারীকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয়রা গর্তে গাছের ডাল ও লাল কাপড়ে নিশানা টাঙ্গিয়ে রেখেছে। ফলে ঢাকাগামী জলসিড়ি বাস, অটোরিকশা, টমটম, নসিমন, কাভার্ডভ্যান, মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারী অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
[৫] জলসিড়ি বাস চালক লোকমান জানান,কাওনা ব্রীজে বাসের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখাই কঠিন ও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
[৬] অটোরিকশা চালক বেলাল জানান, প্রায়ই এ রাস্তায় ও ব্রীজে অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। এতে যাত্রীরা মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছেন।
[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম রাকিবুল আহসান জানান, রাস্তা ও ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ওই ডলি কনস্ট্রাকশন কে নির্দেশ দেওয়া হলেও বিলম্বিত করছে।তবে দ্রুত ব্রীজটি সংস্করণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :