শাহীন খন্দকার : [২] পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যটকশূন্য থাকায় প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতি ও জীববৈচিএের মধ্যে। পর্যটন নির্ভর এ নগরীর নাগরিক জীবনে কোভিড ১৯ মারাত্মক প্রভাব ফেললেও প্রকৃতি এখন ঘুরে দাঁড়াতে উৎসাহ জাগিয়েছে সমুদ্র সৈকতকে। কমেছে বর্জ্য। পাখী আর জলজপ্রাণীরা ফিরে পেয়েছে প্রাণ । তাইতো পরিবেশবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় সতর্ক থাকার বার্তা দিল করোনা বৈশ্বিকমহামারি।
[৩] কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের আধিপত্য এখন লাল কাঁকড়ারসহ পাখীদের দখলে । দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন আর অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনে দীর্ঘ সময় ধরে ধুকতে থাকা কক্সবাজার দু’মাসের লকডাউনে ফিরেছে সে আপন মহিমায়। সৈকতের নানা সৌন্দর্যের পাশাপাশি জীববৈচিত্রও যেন নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়কের এমন সৌন্দর্যও এখন অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন সৌন্দর্য্য।
[৪] সৈকতের বালিয়াড়িতে বাসা বাঁধছে ক্ষুদে কাঁকড়ার দল। তারা বালুচরে বল বানিয়ে আলপনার কাজ করছে প্রকৃতিতে। করোনায় নিজেদের জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব পরলেও প্রকৃতির এ পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে প্রকৃতির অনুকূলে ব্যবসায় কার্যক্রমের প্রত্যাশা এ ব্যবসায়ী নেতার।
[৫] পর্যটন স্পটে গড়েউঠা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে খুবই দুরবস্থা যাচ্ছে আমাদের। দ্রুত কোভিড-১৯ চলমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। পরিবেশবিদরা বলছেন, করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রকৃতির প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে সবাইকে। কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু বলেন, করোনা আমাদের অনেক বড় একটি ম্যাসেজ দিয়ে গেছে। আশা করি এ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে সকলে যে যার জায়গা থেকে প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য কাজ করবেন। উল্লেখ্য করোনার কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আগমন।
আপনার মতামত লিখুন :