এতো প্রাণকে মরতে হবে তবে কোন মহতের তরে? নাম তার অর্থনীতি। তাকে বাঁচাতে হবে। আহা। কী মহান নীতি তিনি। কী মহান নীতি? ফসলে আর প্রেমে বেঁচে থাকার সহজ (লালন ফকিরের সহজ, বধংু নয়) যাত্রাকে জটিল করে যা তাই তো অর্থনীতি? মানুষকে ভূমিহীন করে যা, ভূমিহীন রূপে শিশুর জন্ম নেয়াকে স্বাভাবিক রূপে মেনে নিতে শেখায় যে- সেই তো অর্থনীতি? ফসল সৃষ্টির সুকঠোর সৌন্দর্য হতে জীবনকে বিচ্ছিন্ন করে যে সেই তো অর্থনীতি, আহা! ঘেমে নেয়ে ওঠা শরীর হতে গামছার স্পর্শসুখকে, হাতপাখা ও চৈত্রের ঝিরি ঝিরি হাওয়াকে, নদীর জল এবং বট কিংবা আমগাছের ছায়াকে নাকচ করে এয়ারকন্ডিশন ভবনকে প্রতিষ্ঠা করেন যিনি- তিনিই তো অর্থনীতি। পুরো পৃথিবীটা আপনার এবং সকলের না করে পৃথিবীর অনেকটাকে ঘেরা দিয়ে ব্যক্তিগত করে তোলার প্রক্রিয়াকে মহত্ব দেন যিনি- তিনিই অর্থনীতি। ইনাকে বাঁচাতেই হবে করোনার সংক্রমণ হতে, বাঁচাতে হবে জীবন দিয়ে।
জানা গেছে, অর্থনীতি মহোদয় হে, জান নেই তোমার। জান যে দেবো, সে জান গ্রহণ করতে তুমি অক্ষম। মৃত মানুষেরা অযথাই তোমার দাসত্ব করে মরে। তাদের কেউ অতিপুষ্টি এবং অতিপ্রেম রোগে দম বন্ধ হয়ে মৃত, কেউ মৃত অপুষ্টিতে- ভূমিহীন তারা, জমির এবং জীবনের দলিল নেই, দলিলের পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে মৃত। হায়! মৃতরা কেন যে দৌড়ে মরে মৃত্যুরে ধরবার আশায়। অস্তিত্ব নাইপ্রায় হয়ে যাওয়া জম্বি মানুষেরা অর্থনীতির জম্বিত্বকে বাঁচিয়েই ছাড়বেÑ উনিশ-কোভিডের কালে এই হলো অঙ্গীকার মহান। অথচ জীবন জড়িয়ে আছে নিষ্কাগজ ফসলের মাঠে, নড়ে চড়ে হাতের কাছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :