সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : [২] স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ কয়েকটি পয়েন্টে স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাধ দিয়ে পানি বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। রিং বাধ দিয়ে পানি বন্ধ করার পর জোয়ারের পানিতে তা আবারও ভেঙে যাওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
[৩] ফলে গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জোয়ার ভাটা। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার কাঁচা ঘর বাড়ি। ইতিমধ্যে প্রবল জোয়ারে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া ও কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ঝাপালি এবং আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া ও হরিশখালীসহ কয়েকটি পয়েন্টে রিংবাধ বাধার পর তা আাবারও ভেঙে প্রবল বেগে পানি গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।
[৪] এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার মধ্য দিয়েও সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রিং বাঁধ নির্মাণে ব্যস্ত। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ভাঙ্গনের তীব্রতা এতই প্রশস্ত হয়েছে যা রিংবাধ দিয়েও সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা। উপকুলীয় এ সব এলাকার কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে উপকুলীয় এলাকার মানুষের। এখন সেখানে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।
[৫] শ্যামনগরের গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, দুপুরের জোয়ারে তার ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া নামক স্থানের বেড়বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করছে। তিনি আরো জানান, গত ১০ দিন যাবত ওই স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাধ দিয়ে কোন রকমে পানি আটকানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু দুপুরের জোয়ারে তা আবারও ভেঙে গেছে। তিনি এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করার পরও এখানে দ্রুত টেকশই বেড়িবাধ সংস্কারে কোন উদ্যোগ না নেয়াই তা আবারও ভেঙে গেছে।
[৬] আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী জানান, আজকেও হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া কোলা পয়েন্টে রিংবাধের কাজ করছেন। ইতিমধ্যে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া ও হরিশখালীসহ কয়েকটি পয়েন্টে স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাধ দিলেও তা প্রবল জোয়ারের চাপে ভেঙে গেছে। এর ফলে শ্রীকলা, পুইজলা, লক্ষিখোলা, বকচরসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
[৭] বর্তমানে গ্রামের মধ্য দিয়ে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে এই পূর্নিমার গণে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রিংবাধ ছুটে যাচ্ছে। এই গণ চলে যাওয়ার পর হয়তোবা জোয়ারের পানির তীব্রতা কমলে তখন রিংবাধ টিকে যাবে বলে আশা করা যায়। উপকুলবাসীর এখন একটাই দাবি ত্রান চাইনা, টেকশই বেড়িবাধ চাই।
[৮] এদিকে, শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বেঁড়িবাধ সংস্কাারের কাজ করছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :