শিমুল মাহমুদ: [২] বছরের পর বছর ধরে যে শ্রমিকদের শ্রমকে পুঁজি করে পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের আকালের দিনে কর্মহীন করে ফেলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের এ আহ্বায়ক ।
[৩] মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কোনোভাবেই তাদের ছাঁটাই করা যাবে না এবং প্রত্যেক শ্রমিকের বকেয়া বেতন জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যারা ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন, তাদের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন বা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পুনঃনিয়োগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের কাঁচামাল প্রধানত আমদানি নির্ভর। অর্থাৎ আমরা পোশাক শিল্প থেকে যা আয় করি তা শুধু পোশাক শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য। কিছু অর্ডার বাতিল হয়েছে, সেই বাতিল অর্ডারের কিছু আবার ফিরে এসেছে, হয়তো সামনে আরও অর্ডার ফিরবে। ২০২০ সালে পোশাক শিল্পের আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ৩১০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছিল, যার ২৬ শতাংশ এখন পর্যন্ত ফিরেছে।
[৫] রুবানা হকের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মান্নার প্রশ্ন, শ্রমিকদের বেতন দিতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ কি যথেষ্ট ছিল না? তার মন্তব্য, সেই বিষয়ে তো কেউ কিছু বলছেন না।
[৬] পোশাক শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করায় রুবানা হককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মান্না। তার আশা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শ্রমিকদের জীবিকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান করবেন বিজিএমইএ সভাপতি। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আপনার মতামত লিখুন :