শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২০, ০৯:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ এ মৃত ৩০ শতাংশের হিসাব গোপন

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের গত ৪ জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রাম অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৬ জন। মৃতদের দাফন ও সৎকার করা একমাত্র প্রতিষ্ঠান আল মানাহিল ফাউন্ডেশন এই সময়ে ১২৪ জনের দাফন ও সৎকার করেছে। নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কাছ থেকে ফোন পেয়েই তারা দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেছে।

[৩] প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ নিশ্চিত হয়েই করোনা রোগীদের দাফন-কাফনের জন্য খবর দিচ্ছে। অথচ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে মৃতের তালিকায় ৩৮ জনের নাম নেই। এই সংখ্যা করোনায় মৃতদের মোট সংখ্যার ৩০ শতাংশ।

[৪] নিয়মানুযায়ী কোনো করোনা রোগী মারা গেলেই সংশ্লিষ্ট থানা থেকে এসবিতে ফোন করা হয়। এর পর পুলিশ ফোন করে আল মানাহিল ফাউন্ডেশনকে। কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত করোনা রোগীর দাফন-সৎকার কাজ করেছে স্বেচ্ছাসেবক এ সংগঠনটি।

[৫] সংস্থাটির চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন জমির বলেন, আমরা কেবল পুলিশের বিশেষ শাখার ফোন পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট মৃত ব্যক্তির দাফন কিংবা সৎকারের কাজ শুরু করি। করোনায় মৃতদের দাফন ও সৎকারে শৃঙ্খলা রাখতেই এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১২৩ জনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন করেছি।

[৬] একটি পরিসংখ্যান থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। গত ২ জুন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও বিআইটিআইডিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত ১২ করোনা রোগী মারা যান। আল মানাহিল ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুমিল্লায় এসব রোগীর মরদেহ দাফন করে। এর মধ্যে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় একজন, হালিশহরে দুজন, গরীবুল্লাহ শাহ এলাকায় একজন, ২২ মহল্লায় একজন, মেয়র গলিতে একজন, সীতাকু-ে একজন, চকরিয়ায় একজন, আনোয়ারায় একজন, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একজন এবং

[৭] রাউজানে একজনকে দাফন করে। অথচ ওইদিন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়, করোনায় মারা গেছেন দুজন। জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিস্তারিত বলতে অপারগতা জানান। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

[৮] সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৫৩৭ ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পটিয়ায়, ১৪৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যাও সেখানে বেশি তিনজন। গত ৩ জুন পর্যন্ত যে ৮৫ জনকে মৃত দেখানো হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৬৭ জন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে, উপজেলা পর্যায়ে ১৬ জন।

[৯] চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, সেখানে অনেক রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন। তারা কোনোভাবেই আর সিভিল সার্জনের তালিকায় স্থান পান না। এভাবে নিয়ে যাওয়া অনেক রোগীকে আত্মীয়রাই দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে ফেলেন। হাসপাতাল পর্যায়ে এভাবে তথ্য গোপন করার কারণে করোনার বিস্তার ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলেও একাধিক চিকিৎসক সতর্ক করেছেন। কিন্তু এ ধরনের মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসা প্রশাসনের তেমন একটা মাথাব্যথা নেই।

[১০] আল মানাহিল ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, অনেক রোগী করোনায় মারা যাওয়ার পর আত্মীয়রা তার গোসল দিতে চায় না। তখন আল মানাহিলের পক্ষ থেকে গোসল দিয়ে দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার চমেক হাসপাতালে মৃত এক ব্যক্তির গোসল দিয়ে দেন আল মানাহিলের স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে ওই রোগীকে রংপুর নিজ বাড়িতে নিয়ে স্বজনরা দাফন করেন।

[১১] তবে সাধারণ করোনা রোগীর মৃতের হিসাব সিভিল সার্জন কার্যালয়ে না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হিসাব ঠিকই রাখা হয়। গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন ও গতকাল বৃহস্পতিবার চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মুহিদুল হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এসব তথ্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আছে। আমাদের সময় , প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়