শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২০, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন প্লাসিবোর চেয়ে ভালো নয়

ডেস্ক রিপোর্ট: [২] হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন গ্রহণ করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির নিকটবর্তীদের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি তার চিকিৎসকদের পরামর্শে কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে রক্ষায় প্রতিদিন হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন ট্যাবলেট গ্রহণ করছেন। তবে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ওষুধটি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় প্লাসিবোর (ডামি ওষুধ) চেয়ে কার্যকরী নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসা উচ্চঝুঁকিযুক্ত মানুষদের ওপর এ ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছিল। অধিকাংশকেই উচ্চঝুঁকিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল, কারণ তারা কোনো ধরনের সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কভিড-১৯ রোগীর ২ মিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থান করেছিলেন। আশা করা হয়েছিল যে ওষুধটি এমন লোকদের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যাদের পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়েছিল।

এটা একটি তথাকথিত গোল্ড মানের এলোমেলোভাবে নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা। চারদিনের মধ্যে হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন দেয়া লোকদের মধ্যে যা ঘটেছিল তার পরিবর্তে ডামি ট্যাবলেট দেয়া লোকদের প্রভাব তুলনা করতে ট্রায়ালটি পরিচালনা করা হয়েছিল। ৪০ বছরের কম বয়সী লোকদের নিয়ে এ ট্রায়ালে কুরিয়ারের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮ জনের মধ্যে একজন (৮২১-এর মধ্যে ১০৭ জন) ১৪ দিনের ফলোআপ সময়ে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়া এবং পরীক্ষাস্বল্পতার কারণে লক্ষণযুক্ত সম্ভাব্য আক্রান্তরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন ট্যাবলেট খাওয়াদের মধ্যে কভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা গেছে ৪৯ জনের এবং ডামি ওষুধ খাওয়াদের মধ্যে ৫৮ জনের। পার্থক্যটি তাত্পর্যপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় না। এর মধ্যে দুজন রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে হয়েছিল এবং দুই দলেরই একজন করে মারা গিয়েছিল। হাইড্রোক্সিক্লোরাকুইন খাওয়া মানুষদের মধ্যে বমি বমি ভাব এবং পেটের ব্যথার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বেশি দেখা গেছে। তবে হার্টের সমস্যার মতো গুরুতর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

দ্য গার্ডিয়ান, যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়