সাদিয়া নাসরিন
কুলিয়ে উঠতে পারছে না মেয়েরা। মেশিন কম। তার উপর হেল্পার আসেনি দুজন। আগামীকালের ডেলিভারি পেন্ডিং আছে তিন হাজার মাস্ক। ওরা অসহায় হয়ে হাউকাউ করছে। একটা প্রেজেন্টেশন বানাচ্ছিলাম। ওদের হাউকাউ শুনে ল্যাপটপটা রেখে ওদের কাছে গিয়ে বললাম, কী করতে হবে শিখিয়ে দাও। তারা বিশ্বাসই করতে চায় না আমি তাদের সাথে বসে হেল্পারের কাজ করতে পারবো।
তারপর আমার ধমক খেয়ে শিখিয়ে দিলো মাস্ক উল্টিয়ে ফোল্ড করে দেয়াটা। কাজটার টেকনিক আলাদা। চেয়ার টেবিল দিলো গুছিয়ে বসার জন্য। টেবিলে বসে কী এই কাজ হয়। হায়ারার্কি দিয়ে যৌথ খামার গড়া হয় না। প্রথম দিন হিসেবে আমার কাছে ওদের টার্গেট ছিলো প্রতি মিনিটে দশটা। বিশ্বাস করেন, আমি প্রতি মিনিটে চল্লিশটা মাস্ক ফোল্ড করতে পারসি। এখন গতি আরো বাড়সে। আরো বাড়বে। ওরা খুব অবাক হলো।
বোকা মেয়েরা জানে না, এই হাত অন্য জিনিস। যৌথ পরিবারে বড় হইসি। মায়ের পাশে বসে চাল ঝাড়াও শিখসি, মসলা বাটাও শিখসি, গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরাতেও শিখসি, কী-প্যাডে ঝড় তুলতেও শিখসি। জীবন এর নাম। কাজ মানেই সুন্দর। কাজ মানেই জীবন। কাজ মানে যৌথ খামারের স্বপ্ন, আমি থেকে আমরা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :