কামরুল হাসান মামুন : করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির বদ্ধ ঘরে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে একা রেখে বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে রাখে। মৃত্যুর পরও তারা কাছে আসেননি। বদ্ধ ঘরে মৃত্যুর আগে নাকি ডাকাডাকি করেছিলেন কিন্তু পরিবারের কেউ কাছে আসেননি। কি অমানবিক ঘটনা বুঝতে পারছেন? কিন্তু এরাই আবার কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাহিরে যায়। নমুনা দেওয়ার ৫ দিন পর মৃত্যু, এরপর এল ফল। পৃথিবীর কোথাও কি নমুনা দেওয়ার ৫ দিন পর রিপোর্ট দেয়?
নমুনা দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন। করোনা রোগী হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছে কিন্তু প্রভাবশালী না হলে জায়গা পাচ্ছে না কোথাও। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু। এসবই দেখছি সংবাদ শিরোনাম। ইউরোপ আমেরিকা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশি করোনা রোগী নিয়েও নিজের আপনজনকে দরজা বন্ধ করে মরতে দিয়েছে বা হাসপাতাল চিকিৎসা ফিরিয়ে দিয়েছে এরকম ঘটনা ঘটেনি। একবার ভাবুন আমাদের অবস্থা যদি তাদের লেভেলের কাছাকাছিও যায় কী অবস্থা তৈরি হবে? পৃথিবীতে এমন একটি দেশ পাবেন না যেখানে করোনা শনাক্ত যখন হু হু করে বাড়ছে তখন সব খুলে দিয়েছে। পরিস্থিতি একপ্রকার নি¤œমুখী হলে তারপরও ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে লক ডাউন তুলেছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :