শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০২০, ০৪:০৫ সকাল
আপডেট : ০৫ জুন, ২০২০, ০৪:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাস্তায় ঘুরে ঘুরেও বিক্রি করা হচ্ছে মাস্ক ও গ্লাভস, বেড়েছে মাস্কের চাহিদা : অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন

শাহীন খন্দকার : [২] কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকার পর এর চিকিৎসায় দরকারি সামগ্রী যেমন অক্সি-মিটার, পোর্টেবল অক্সিজেন ক্যান, পোর্টেবল ভেন্টিলেটর, ফেস-শিল্ড এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিক্রিও ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। কোভিড-১৯ না হলেও অনেকে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে রেখে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অক্সিজেন প্রস্তুতকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানি লিন্ডে-র বিক্রয় কেন্দ্রে খবর নিয়ে জানা গেল অক্সিজেনের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তারা।

[৩] লাঠিতে ঝুলিয়ে অথবা পলিথিনের ব্যাগে করে রাস্তায় ঘুরে বিক্রি করা হচ্ছে মাস্ক ও গ্লাভস। দেশেই তৈরি হচ্ছে পিপিই। এসব সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সরকারি সংস্থা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভাইরলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলছেন, "এসব সামগ্রী ব্যবহারের বিপদটা হল এর কোয়ালিটি মেইনটেইন হচ্ছে কিনা আর রিসাইকেল করে বিক্রি হচ্ছে কিনা। আমি পত্রিকায় একটা ছবিতে দেখলাম কিছু লোক একটা হাসপাতালের বাইরে আবর্জনা থেকে পিপিই সংগ্রহ করছে। এখন ব্যবহৃত জিনিস আবার রিসাইকেল করে বিক্রি করা হচ্ছে কিনা।

[৪] তিনি বলেন, যেভাবে একসময় আমরা সিরিঞ্জ রিসাইকেল হতে দেখেছি। তিনি বলছেন, "আমরা পয়সা দিয়ে জিনিসটা কিনে মনে করছি ভালোটাই কিনছি। কিন্তু এটা নকল কিনা সেটা আমরা কিভাবে বুঝবো ? যে পরবে সে মনে করবে যে সে নিরাপদ। এসব সামগ্রী মানুষের মধ্যে এক ধরনের নিরাপদ বোধ করার অনুভূতি তৈরি করে, কিন্তু আসলে সে কতটা নিরাপদ সেটা একটা কথা। এর আগে একবার কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য নকল এন-৯৫ মাস্ক আমদানির অভিযোগ উঠেছিল। এখন আমদানিকৃত সুরক্ষা সামগ্রীর কিছুটা পরীক্ষা হচ্ছে।

[৫] কিন্তু সেগুলো পরে কিভাবে বিক্রি হচ্ছে, কিভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের মেয়াদকাল রয়েছে কিনা, দেশে তৈরি পণ্য কি ধরনের সামগ্রী দিয়ে বানানো হচ্ছে আর এগুলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কতটা সুরক্ষা দেয় সেব্যাপারে কোন ধরনের মান যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশে হচ্ছে না। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলছেন, মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলছেন, "ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এটা করে। তারা মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। তবে অক্সিজেনের মতো দেখি কেউ কেউ কিনে রাখছেন। আমরা বলি এটা সরাসরি হসপিটালে দেয়ার জন্যে। এসব সুরক্ষা সামগ্রীর ইচ্ছেমত দামও রাখা হচ্ছে। বাজার ঘুরলে দেখা যাচ্ছে একসময় একবার ব্যবহারযোগ্য যে মাস্ক ও গ্লাভস ৫ টাকায় বিক্রি হতো এখন তার দাম অন্তত চারগুণ। অনলাইন, ফেসবুকে ও খুচরা বিক্রির দোকানে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে অন্তত দ্বিগুণ দামে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়