শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২০, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২০, ১০:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ : স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবহন খাতের দুরবস্থা কেন?

খান আসাদ : নাসিম সাহেব স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত। ব্যক্তি আক্রমণের অর্বাচীন পোস্ট দেখছি। যেন, নাসিম সাহেবরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নীতি নির্ধারক। যেন ব্যক্তির দোষে আজ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই বেহাল অবস্থা! জিপিএ-৫ না পেয়ে, কিশোর বয়সী ছেলে মেয়েরা আত্মহত্যা করছে। দোষ দেয়া হচ্ছে প্রতিবেশীদের, যেন এই শিক্ষা ব্যাবস্থা ঠিক আছে। সমস্যা প্রতিবেশীরা কেন রেজাল্ট জানতে চায়? গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ কাগজে কিন্তু আসলে ১২০ শতাংশ বেড়েছে। অনেক সুশীলের কাছে এটি কোনো বিষয়ই না। বিষয় হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’, মানে ৫ বছরে একবার ভোট দিতে পারছে কিনা! স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন খাতের এই অবস্থাটা কেন? কীভাবে তৈরি হলো?
সাম্রাজ্যবাদ শুনলে যাদের মাথা ঘুরায়, তারা মনে হয় ঝঃৎঁপঃঁৎধষ অফলঁংঃসবহঃ চড়ষরপু এর নাম শুনলেও শুনতে পারেন। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি, সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা, রাষ্ট্রকে ঋণ দেয়। এই ঋণের শর্ত ছিল; অর্থনীতি সংস্কার করতে হবে। বেসরকারিকরণ করতে হবে। সেটার মানে সরকারি খাতে কোনো সেবা, যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণপরিবহন ইত্যাদি থাকতে পারবেনা। থাকলে ঋণ দেয়া হবেনা। ১৯৮০ সালের দিকে, ‘মুক্ত বাজারের’ মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি করার তরিকা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক মিলে একমত হলো, যার নাম ‘ডধংযরহমঃড়হ ঈড়হংবহংঁং’, নিও লিবারেল পলিসি। বেসরকারিকরন করা হলে, মানি ইজ নো প্রব্লেম। মোদ্দা কথা প্রতিটি সমাজে একটি লুটেরা শ্রেণি সৃষ্টি করতে হবে, জনগণের টাকা এদের হাতে দিতে হবে, রাষ্ট্রের আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে। তেল নিয়ে নাড়া চাড়া করলে হাতে কিছু লেগে থাকে, ফলে, আমলাদের হাতেও স্পিড মানি লেগে যাবে। সাম্রাজ্যবাদের একটি সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হবে। মূলত একটি লুটেরা শ্রেণির জন্ম দেয়া ছিল এই ঝঅচ এর কাজ।
আপনারা নাসিম সাহেব, আর নাহিদ সাহেবদের দেখেন, কিন্তু এদের পেছনের কারিগরদের দেখতে চান না। আশির দশকে, অনেক বামপন্থীর সাথেও ঝগড়া হয়েছে, এই ঝঅচ নিয়ে। কারণ প্রাইভেটাইজেশন না হলে নাকি ‘বাকশাল’ আইবো। প্রাইভেটাইজেসন হলে ‘উন্নতি’ ও ‘গণতন্ত্র’ হবে। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বেসরকারিকরণ হচ্ছে, পোগতিশীল। বেসরকারিকরনের নামে, সাম্রাজ্যবাদের পৌরোহিত্যে একটি নব্য লুটেরাশ্রেণি বানিয়ে, তাদের হাতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা আর গণপরিবহনের মত সেবা খাত দিয়ে দেবেন, এটাকে গণতন্ত্র বলবেন, আর চাইবেন সুশাসন! নব্য লুটেরা শ্রেণির কাছে জনসেবা চান?’ ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়