শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২০, ১০:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেবদুলাল মুন্না : পর্নোগ্রাফি ভালো, নাকি খারাপ?

দেবদুলাল মুন্না : বহিঃপৃথিবীর সাথে ভাষার সম্পর্ক একদমই শালীন। যৌনতার ক্ষেত্রে ভাষা স্বেচ্ছাচারী। ওই ভাষা পাঠের জন্য আমি পর্নোগ্রাফি দেখি। শিৎকারের ভাষায় ও তার শ্রেণিচরিত্র প্রকাশিত। আমি পর্নোগ্রাফি সমর্থন করি। কারণ মানুষ হিসেবে ওটি সবাই দেখলে নারী বা পুরুষ শরীর ও তাদের ভাষা সম্পর্কে তাদের কৌতুহল কমে যেতো এবং সহজগম্য হয়ে ওঠার ফলে ট্যাবু ভেঙে যেতো। তবে এ মাধ্যমে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় এসব পুরুষতান্ত্রিকতা বলে আপাত মনে হলেও ফিভ-ক্যাভ, লেস-লাভ এসব সাইট প্রমাণ করে আসলেই এই বাজার মুক্ত বাজার। কথাগুলো বাখতিনের।

এদিকে স্লাভায় জিজেকের মতে, মাইক্রো ও মাশিকিউলার অটোনমির যে ইতিহাস সেটি তো মাইক্রো ন্যারোটিভ ও সাবজেক্টিভিটির কথা বলে, তার শুরুই তো শরীর থেকে। কারণ টাকা, ক্যাপিটেল শরীরের সঙ্গে সত্তার বিচ্ছেদ রেখা টেনে দিয়েছে। ফলে যে কারো আর তার নিজের না। এটা পুঁজির এবং পূঁজির রিলিজিয়নই হলো পণ্যায়ণ। সেই বিবেচনায় গেলেও দেখা যাচ্ছে অন্য শারীরিক শ্রম ঝরিয়ে কাজ করা খাতগুলোর মতোই পর্নোগ্রাফি। নতুন কিছু নয়। বরং এ খাতকে যারা হেয় বা অমানবিকভাবে দেখেন তারা বরং এক ধরনের ট্যাবুতে ভোগেন যৌনতা নিয়ে।

১৮৫৭ সালে রবলে ডাংলিসনের মেডিক্যাল লেক্সিক্যাল : এ্যা ডিকশনারি অব মেডিক্যাল সায়েন্স বইটির মাধ্যমে সর্বপ্রথম ইংরেজিতে পর্নোগ্রাফি টার্মটি ব্যবহৃত হয়। সেখানে টার্মটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল এভাবে, ‘এ ডেসক্রিপশন অব প্রসটিটিউটসেস অব প্রস্টিটিউশন এজ এ ম্যাটার অব পাবলিক হাইজিন।’ মানে পর্নোগ্রাফি হলো যৌনকর্মী বা যৌনপল্লীর একটি রূপ, যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। ফলে পর্ণোগ্রাফিকে এক লহমায় বাতিল করে দেওয়ার উপায় দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক-সামাজিক কাঠামোর কারণেই। কিন্তু এ ইন্ড্রাস্ট্রি যে একটা ফ্যান্টাসি তৈরি করে এটিকে আপনি ইগনোর করবেন কী করে? এ প্রশ্নও চালু আছে কেইট মিলেট থেকে শুরু করে স্তিফান ব্রাভের মতো বিশ্বখ্যাত মনোবিদদের গবেষণায়। হালে তারা বলছেন, যে পর্নোগ্রাফি আসক্ত হয়ে পড়লে বাস্তব জগতে যৌনজীবনে একধরনের উগ্রবাদিতার লক্ষণ দেখা দেয়। ফলে একধরণের অতৃপ্তিরও সৃষ্টি হয়। এর ফলে পরকীয়া প্রেম, সংসারে ভাঙন, বহুগামিতা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া মানসিকভাবে ‘বহুগামিতা’বাড়ে, বাস্তবে না বাড়লেও। ফলে যৌন অস্থিরতার প্রভাব পড়ে সমাজে। ফলে পর্নোগ্রাফিকে নিয়ে এরকম দুই ধারার মতবাদের কারণে মনে প্রশ্ন জাগে, পর্নোগ্রাফি আসলে ভালো, না খারাপ?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়