সমীরণ রায়ঃ [২] সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির এক যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলেন, উৎপাদন খরচ কমানো, ভূমির সুষ্ঠু বণ্টন, চাষে কৃষককে সরাসরি ভর্তুকি প্রদান করে কৃষি ও কৃষককে রক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে সস্তায় বাজিমাত করার জন্য ‘চাষের জমি ফেলে রাখলে অধিগ্রহণ করা হবে’ এ বক্তব্য ছুড়ে দিয়েছে।
[৩] তারা বলেন, চাষ না করার জন্য জমি ফেলে রাখার দায়ে যদি কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করতে হয় তাহলে রাষ্ট্র ও সরকারের গণবিরোধী ভূমিকার কারণে যে কৃষক সবজি, ফুলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়নি তার দায়ও সরকারকেই বহন করতে হবে।
[৪] তারা আরও বলেন, ধান মেরে চিংড়ি ও অন্যান্য মৎস্য চাষ হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদে। তারাই অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি ধ্বংস করে অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছে। কৃষি উৎপাদনের উপকরণকে বাণিজ্যিক পণ্যে রূপান্তরিত করেছে এবং কৃষিক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত নয়া উপনিবেশিক ও আধা সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর রেখেছে। বার বার আবেদন নিবেদন করার পরও খাসজমি ভূমিহীন গরিব কৃষকদের মাঝে বণ্টন করা হয়নি। তারা সুন্দরবন ও জলবায়ু ধ্বংস করায় দেশে বন্যা, জলাবদ্ধতা তথা প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা, পানির স্তর নেমে যাওয়ার সংকটসহ সামগ্রিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে কৃষকের কষ্টের ফসল বার বার ধ্বংস করেছে। নদ-নদী ভরাট হয়ে অকাল বন্যায় ফসলহানিও ঘটে চলেছে।
[৫] তারা বলেন, কৃষি উৎপাদনে সার-বীজ-কীটনাশকসহ সেচে ব্যবহৃত তেল-ডিজেল বিনামূল্যে ও অন্যান্য উপকরণ ভর্তুকিমূল্যে প্রদান এবং উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান না করে মধ্যসত্ত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে সরকার। ফলশ্রুতিতে আজ ধনী কৃষক মধ্যকৃষকে, মধ্যকৃষক গরিব কৃষকে আর গরিব কৃষক ভূমিহীন কৃষকে পরিণত হয়ে চলেছে।অথচ রাষ্ট্র ও সরকার তার দায়-দায়িত্ব পালন না করে উল্টো জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ প্রদান করাটা সম্পূর্ণ গণবিরোধী।
[৬] বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :