সিরাজুল ইসলাম : [২] বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ট্রাক বুকিং কাউন্টারের সামনে সোমবার থেকে কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জলিল সরদার পাড়ার সাইমদ্দিন মন্ডল, বেপারীর পাড়ার মুসা মৃধা, নুরু মন্ডল পাড়ার মাসুদ বেপারী ও অমর আলী মোল্লা পাড়ার ইব্রাহিম খলিল ফেরির টিকিট কেনে দেন।
[৩] কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, কাউন্টারের লোকজন টিকিট না দিয়ে কমিউনিটি পুলিশের কাছে যেতে বলেন। তারা ফল, মাছ, মুরগি ও সবজির গাড়ির টিকিট তিন হাজার টাকা করে আদায় করেন। অন্য মালবাহী গাড়ির টিকিটেও তারা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বাড়তি নেয়। বিষয়টি সাংবাদিকরা গোয়ালন্দ থানার ওসিকে জানান। মঙ্গলবার রাতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে তাদের হাতিয়ে নেওয়া টাকা কোথায়, তা জানা যায়নি।
[৪] কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা জানান, রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ তাদের নিয়োগ করেছে। আরেকটি সূত্র জানায়, রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম তাদের দায়িত্ব দেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, চাঁদাবাজী বন্ধ করতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে কমিউনিটি পুলিশ রাখা হয়েছে।
[৫] গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, কমিউনিটি পুলিশের ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নেই।
[৬] বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, ট্রাক চালক বা হেলপার টিকিট কেটে থাকেন। তার কোন লোক টিকিট না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :