লাইজুল ইসলাম: [২] সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও চলছে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা। তবে সরকার নির্ধারিত হাসপাতাল হওয়ায় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান সাইফুর রহমান সাজ্জাদ। তিনি মঙ্গলবার (২ জুন) সুস্থ্য হয়ে যান। কিন্তু তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়। পরে রাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান সাইফুর। কিন্তু বিষয়টি গণমাধ্যমেও তিনি জানিয়ে দেন। সব গণমাধ্যম ফলাও করে সংবাদ করে বিষয়টি নিয়ে।
[৪] বুধবার (৩ জুন) সেই রোগীকে ডেকে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুঃখিত বলে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য ১ ও ২ জুনের বিল ৩৪ হাজার টাকা কেটে রাখে। আর বাকি ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[৫] হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরাসরি কথা বলতে না চাইলেও জানায়, সরকারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ৩১ মে পর্যন্ত। তাই উক্ত রোগীর কাছ থেকে দুই দিনের বিল রাখা হয়েছে। তবে এই অতিরিক্ত টাকা রাখার বিষয়ে সূত্র কিছু বলতে চায়নি।
[৬] এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রোগীদের হ্যারেজ করা হলে বিষয়টি খুবই খারাপ হয়েছে। তারা বেরিয়ে যাবে এই মর্মে একটি চিঠি দিয়েছে। তবে সেটি এখনো গ্রান্ড হয়নি। তাই তারা রোগীর থেকে ১ ও ২ জুনের বিল রাখতে পারে না।
[৭] হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের সঙ্গে যাদের চুক্তি হয়েছে তারা চাইলে বেরিয়ে যেতে পারে। তবে এধরনের ঘটনা অনাকাঙ্খিত।আমরা বিষয়টি এখনো পুরোপুরি জানি না। টাকার ঘটনাটি শুনেছি। ফেরত দিয়েছে সেটাও জানি।
আপনার মতামত লিখুন :