সুজন কৈরী : [২] লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা ও মানবপাচারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই মানবপাচারকারী মাহবুবুর রহমান ও সাহিদুর রহমানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় সিআইডির দায়ের করা মামলার ৩৩ ও ৩৪ নম্বর আসামি।
[৩] বুধবার ওই দুজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৪] সিআইডি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাজধানীর পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া একই ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দায়ের হওয়া মামলার আসামি বাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। বাহারুল পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলারও আসামি বলে জানা গেছে।
[৫] মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ও হত্যার অভিযোগে সিআইডির এসআই রাশেদ ফজল। বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার এজহারে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
[৬] র্যাবের হাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামাল ছাড়াও ঢাকার শহীদ তাজউদ্দিন সরণির ট্র্যাভেল এজেন্সি নাভীরা লিমিটেড এবং হাতিরঝিলের ফ্লাইওভার ট্যুরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলস লিমিটেডের মালিক দুই ভাই শেখ মো. মাহবুবুর রহমান ও শেখ সাহিদুর রহমান এবং পুরানা পল্টনের স্কাই ভিউ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক, ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের কামাল হোসেন ও শাহাদাত হোসেন, ভৈরবের তানজিলুর ওরফে তানজিলুম ওরফে তানজিদ, তানজিদের ভাতিজা নাজমুল, বাচ্চু ওরফে বাচ্চু মিলিটারি, মো. জোবর আলী, জাফর, স্বপন, মিন্টু মিয়া, হেলাল মিয়া, হাজী শহীদ মিয়া, মো. খবির উদ্দিন, মুন্নি আক্তার রূপসী ও লালন, নজরুল মোল্লা, রাশিদা বেগম, বুলু বেগম, আমির শেখ, জাহিদুল শেখ, জাকির মাতুব্বর, আমির হোসেন, নাসির, সজীব মিয়া, রেজাউল বয়াতী, নূর হোসেন শেখ, ইমাম হোসেন শেখ ও আকবর হোসেন শেখ, গোপালগঞ্জের লিয়াকত শেখ ওরফে লেকু শেখ, আ. রব মোড়ল, কুদ্দুস বয়াতী, শরীয়তপুরের সাদ্দাম, কুষ্টিয়ার আলী হোসেন, মাদারীপুরের রাজৈরের জুলহাস সরদার এবং সদর উপজেলার দিনা বেগমের নাম রয়েছে মামলায়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
[৭] এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পল্টনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ট্রাভেল এজেন্সির মালিক, কর্মচারী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নিয়োজিত দালালদের সহায়তায় প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে আটক করে ও নির্যাতন চালায়। সেইসঙ্গে নির্যাতনের ভিডিও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে।