লিহান লিমা: [২] যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিক্ষোভ সামলানো ও সেনা মোতায়েনের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পর্কে সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রায় ২০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় নেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এসময় তার চোখ-মুখ জুড়ে ছিল অস্বস্তির চাপ। তার মুখ বলছিলো কোনো কিছু বলার আগে মনে মনে তা যাচাই করতে চান। তবে শেষ অবধি তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি কিছু বলেননি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য গার্ডিয়ান
[৩] দীর্ঘ সময় চুপ থাকার পর ট্রুডো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যা চলছে আমরা সবাই তার ত্রাস ও ভয়াবহতা দেখেছি। এখনই সময় সবাইকে কাছে টানার, তাদের কথা শোনার, কোথায় অবিচার হয়েছে তা জানার। দশকের পর দশকের উন্নতির ধারায় এগিয়ে চললেও এসব অবিচার অব্যাহত রয়েছে।
[৪] ট্রুডো আরো বলেন, সময় এসেছে কানাডিয়ান হিসেবে নিজেদের জানার। কৃষ্ণাঙ্গ কানাডিয়ানরা প্রতিনিয়ত বর্ণবৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পদ্ধতিগতকারণে নানাভাবে তারা এ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৫] ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই সমালোচনার ব্যাপারে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নেলসন উইসেম্যান বলেন, ট্রুডো যথেষ্ট আধুনিক। এটি ট্রাম্পের নাম না করেই ট্রাম্পের সমালোচনা। সরাসরি নাম নিলে ট্রাম্প ক্ষেপে যেত। আর সেটার প্রভাবও পড়তো বলে মনে করেন তিনি।
[৬] এর আগে ২০১৮ সালে জি-৭ সম্মেলনে ট্রুডোর সঙ্গে মতানৈক্যে জড়িয়ে কানাডার গাড়ি ও স্টিলের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প।