মহসীন কবির: [২] চক্রের সাথে জড়িত সুদান, মিশর এবং লিবিয়াসহ নানা দেশের লোক। অবৈধপথে লিবিয়া হয়ে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা। অথচ উন্নত জীবনের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে সাগরে ডুবে অথবা গুলি খেয়ে। মানবপাচারের অভিযোগে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ডিবিসি টিভি
[৩] গত বৃহস্পতিবার (২৮শে মে) লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির সবাই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়েন। লিবিয়ার ভিসা ছিলো না তাদের, ছিলো না বিদেশে চাকরির অনুমতিও। বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া এখন ট্রানজিট পয়েন্ট। মানবপাচারকারীরা কয়েকটি রুটে লিবিয়া হয়ে ইতালি পাঠায় তাদের।
[৪] প্রথমে ঢাকা থেকে কলকাতা সেখান থেকে মুম্বাই। পরে কুয়েত হয়ে মিশর। সেখান থেকে লিবিয়ার বেনগাজি শহর। এরপর ভূমধ্যসাগর দিয়ে পাঠানোর চেষ্টা চলে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এছাড়া ঢাকা থেকে পর্যটন ভিসায় দুবাই। সেখান থেকে মিশর, সুদান হয়ে লিবিয়া তারপর ভূমধ্যসাগর দিয়েও ইউরোপের পাঠানোর চেষ্টা চলে।
[৫] বিশ্লেষকদের মতে লিবিয়া হয়ে মানবপাচারে দেশি-বিদেশি শক্তিশালী চক্র জড়িত। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এমনকি বাংলাদেশের কিছু অসাধু জনশক্তি রিক্রুটিং এজেন্সি যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানেও লোক পাঠাচ্ছে।
[৬] পুলিশ বলছে, দেশের অন্তত ১১টি জেলায় মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকার নবাবগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী, নওগাঁ, নাটোর, মানিকগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ। লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি নিহত হওয়ায় ঘটনায় মানবপাচারকারী মূল হোতা কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার সিন্ডিকেটে থাকা আরও ১০ জনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :