সমীরণ রায় : [২] বাম ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলেন, দুর্যোগের দায় যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, তারা মালিকপক্ষের স্বার্থে কাজ করছে। একই সঙ্গে সরকার তার গণবিরোধী স্বরূপ ফের উম্মোচন করেছে।
[৩] তারা ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহার ও পুনরায় লকডাউন ঘোষণার দাবি জানান। একই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতাল রিকুইজিশন করে করোনা চিকিৎসা প্রসারিত করারও দাবি জানানো হয়।
[৪] তারা বলেন, যখন করোনা মহামারি আকরে ছড়িয়ে পড়েছে, তখনই লকডাউন তুলে দিয়ে সরকার দেশবাসীকে চরম ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ সমূহ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
[৫] তারা আরও বলেন, হাসপাতালে রোগীর ভিড়, চিকিৎসা নেই। ভেন্টিলেশন খুবই অপর্যাপ্ত। সেবা না পেয়ে রোগীরা ছটফট করছে। সামাজিক দূরত্ব মানা যাচ্ছে না। নতুন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। গাণিতিক হারে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে অফিস-আদালত, দোকানপাট, উপাসনালয় ও গণপরিবহন খুলে দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগের দায় যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
[৬] মঙ্গলবার রাতে বাম ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার মুর্শেদ ও কমিউনিস্ট ইউনিয়নের আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :