মনিরুল ইসলাম: [২] বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিভিন্ন সড়কে সরকারি টোল আদায় বন্ধ, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলেছেন, জনগণের উপর বাস ভাড়ার নতুন বোঝা চাপানোর সিদ্ধান্ত বতিল করতে হবে। সরকার চাইলে পোষাক খাতসহ অন্যখাতে মতো বাস মালিকদের জন্য প্রণোদনা বা ভর্তুকি দিতে পারে। প্রণোদনার দাবি জানান।
[৩] দেশব্যাপী বিক্ষাভ কর্মসূচী থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন করে বাস ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল, ফেনী, রাজশাহী, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, চাঁদপুর, হবিগঞ্জসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কর্মসূচী পালিত হয়।
[৪] কর্মসূচীতে নেতারা বলেন, করোনা মহামারীতে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু যখন উর্ধ্বমুখী, তখন প্রয়োজন ছিল আরো কঠোর লকডাউন; কিন্তু সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং টেকনিক্যাল কমিটিসহ সকলের মতামত উপেক্ষা করে অফিস-আদালত, দোকানপাট, গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দিয়ে জনগণকে আরো মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। গত ২ মাস সরকার শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষের খাদ্য আর্থিক নিরাপত্তাসহ কার্যত কোন দায়িত্ব না নিয়ে ৪ কোটি চরম দারিদ্র মানুষকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
[৫] নেতারা আরও বলেন, সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অন্যায়ভাবে একতরফা মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা করোনায় বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের জন্য মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে বাড়তি চাপ তৈরি করবে। বাসের ভাড়া আগেই যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল সেটাই ছিল অযৌক্তিক। সেই সময়ও জনগণ তা মানেনি। তাই বর্তমান বাস ভাড়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল করতে হবে।