আবুল বাশার নূরু: [২] সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে কিশোর বয়সেই মুম্বই পাড়ি জমিয়েছিল মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের মনোহরপুর গ্রামের বছর পনেরোর কিশোর পীযূষ দাস। মুম্বাইতে পাইপ লাইনের কাজে মৌসুমী শ্রমিকের কাজ করত সে। লকডাউনে কাজ হারায় পীযূষ। তারপর থেকে অনাহারেই দিন কাটছিল মুম্বাইতে। শেষে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ধরে গত সপ্তাহে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল সে। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না। অভিযোগ, ট্রেনেও পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জল জোটেনি তার। শেষে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর। সোমবার রাতে মৃত্যু হয় পীযূষের।
[৩] ৩ দিন অর্ধাহারে ট্রেন সফরের পর হরিশ্চন্দ্রপুরে এসেই বারদুয়ারী হাইস্কুলের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে চলে যায় পীযূষ দাস। সেখানেই রবিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তারপর সেখান থেকে তাকে স্থানীয় মশালদা হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শেষে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সোমবার রাতে পীযূষ দাসের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
[৪] এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের শিশু-নারী ও ত্রাণ কর্মাদক্ষ মর্জিনা খাতুন জানান, বাইরে থেকে যারা বাংলায় ফিরছেন, তাদের ব্যাপারে কেন্দ্র সরকারের আরও গুরুত্ব নেওয়া উচিত। রেলের তরফে এদের খাবারের ব্যাপারে আরও সচেতন থাকা উচিত ছিল। কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতার জন্যই এত শ্রমিকের মৃত্যু ঘটছে। এর দায় কেন্দ্রকে নিতে হবে। সূত্র: ২৪ঘন্টা
আপনার মতামত লিখুন :