সুজন কৈরী : [২] কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণসহ খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের ঘটনাগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি জানার পর মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
[৩] দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, খাদ্য গুদামের খাদ্যসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি, কতিপয় ডিলারের খাদ্য সামগ্রী আত্মসাৎসহ এ জাতীয় অভিযোগে কমিশন থেকে নেয়া আইনি কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সরকারি ছুটি চলাকালে ত্রাণ বিতরণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের ও আসামি গ্রেপ্তার করায় কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।
[৪] দুর্নীতির অভিযোগ জানানোর সকল চ্যানেল খোলা রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যম, সামাজিক মাধ্যম, দুদকের গোয়েন্দা তথ্যসহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিয়মিত বিচার-বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। দুর্নীতি করে পার পাওয়ার সুযোগ কেউ পাবে না। প্রতিটি অভিযোগ বিচার-বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতি করে কেউ যেন শান্তিতে থাকতে না পারে, সে ব্যবস্থা কমিশন করবে। অতি লোভী ঘৃণ্য এসব অপরাধীকে আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করতেই হবে।
[৫] স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস চালানোর বিষয়ে কমিশনের গঠিত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রমের বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহসহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এরপরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কমিশনের দুইজন কর্মকর্তা কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন।
[৬] দুজনের মৃত্যুতে দুদক চেয়ারম্যান আবারও শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রæত আরোগ্য কামনা করেন।
[৭] তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্বসহ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অফিস চালাতে হবে। ফাইল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল প্রকার যোগাযোগ সম্পন্ন করা হবে।
[৮] দুদক জানিয়েছে, করোনা সংক্রমনের পর লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় ১৯টি মামলা দায়ের করা হয় এবং এসব মামলায় অধিকাংশ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :