দেবদুলাল মুন্না: [২] আমেরিকার ৫০ রাজ্যের ১৬৩ শহরে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। নোম চমস্কির একটি মন্তব্যকে উদ্ধৃতি করে কাউন্টার পাঞ্চ অনলাইন গতকাল মঙ্গলবার একটি খবরের শিরোনাম করেছে, ‘বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে এমন বড় আন্দোলন মার্টিন লুথার কিংয়ের মৃত্যুর পর আর দেখেনি আমেরিকা।’ এরিমধ্যে ৪৭ শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
[৩] সারা আমেরিকায় এই উত্তাল পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানে জাতীয় ঐক্যের ডাক এবং জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অঙ্গীকারের পরিবর্তে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উল্টো হুমকি দিলেন সামরিক শক্তি নিয়োগের মাধ্যমে আন্দোলন থামিয়ে দিতে। সিএনএন
[৪] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভের আগুনের আঁচ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে দুনিয়াজুড়ে। ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ডেনমার্ক, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সহ দুনিয়ার নানা প্রান্তে রাজপথে নেমে এসেছে মানুষ।
[৫] দ্যা গার্ডিয়ান জানায়, লন্ডনেও ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সপ্তাহে আরও তিনটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে লন্ডনে। এর মধ্যে একটি মার্কিন দূতাবাসের কাছে অনুষ্ঠিত হবে। সেন্ট্রাল লন্ডনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শ্লোগান দেয়, ‘নো জাস্টিজ নো পিচ’ (ন্যায়বিচার নাই, শান্তিও নাই)। বিপুল সংখ্যক জনতা শ্লোগান দিতে দিতে হাউজ অব পার্লামেন্টের দিকে যান, তারপর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে বিক্ষোভ শেষ করেন।
[৬]জার্মানির বার্লিনেও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে শতশত মানুষ। তারা শ্লোগান দেয়, জর্জ ফ্লয়েডের জন্য ন্যায়বিচার চাই।
[৭] বিক্ষোভ হয়েছে কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারে। নিউজিল্যাল্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে মানুষ বিক্ষোভ করে, তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ঝুলে, ‘ নো মোর মার্ডার,উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
আপনার মতামত লিখুন :