মো. আখতারুজ্জামান : [২] সাভারে রানা প্লাজা ধসের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার সংস্কার তদারকি শুরু করে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ক্রেতা জোট। সোমবার অ্যাকর্ডের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান বলেন, অ্যাকাউন্টিং রেকর্ডস রাববার থেকে বাংলাদেশে তাদের সব কার্যক্রম স্থায়িভাবে বন্ধ থাকবে।
[৩] তিনি বলেন, এ জন্য বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সব সরকারি ও অন্যান্য সব সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে স্টিকটিং বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশনে সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদেরকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
[৪] গত ১৬ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে অ্যাকর্ড জানিয়েছিল, শর্তসাপেক্ষে এ জোটটি নিরীক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে পোশাক কারখানার মূল্যায়ন কার্যক্রম সমাপ্তি করবে।
[৫] ওইদিন বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পোশাক খাতের সংস্কার কাজের তদারকিতে একমত হয়েছে আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিলের, ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং বাংলাদেশের পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
[৬] জানা গেছে, অ্যাকর্ডের পূর্বঘোষিত মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। তবে কারখানার সংস্কার অনগ্রসরতা গতি ও শ্রম অধিকার নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়েই মেয়াদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করে ক্রেতা জোটটি। এদিকে কারখানার মূল্যায়ন কার্যক্রম ও সংস্কারের বিষয় নিয়েই বিক্ষুব্ধ কারখানা কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।
[৭] গত বছর মে মাসে আদালতের অ্যাকর্ডকে ২৮১ দিন সময় দেয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএর মধ্যে। সেপ্টেম্বরের আলোচনায় সব পক্ষ চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং এর সব কাজের একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিবিধ বিষয়ে একমত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :