সুজন কৈরী : [২] লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালকে (৫৫) আটক করেছে র্যাব-৩। তার কাছ থেকে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
[৩] সোমবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলীতে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুর এলাকা থেকে তাকে সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে। গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে নৃশংস হত্যাকাÐে ২৬ বাংলাদেশি নিহত এবং ১১ বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত চক্রের হোতা ছিলেন কামাল।
[৪] র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, হাজী কামাল গত ১০/১২ বছরে অবৈধভাবে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছেন।
[৫] লিবিয়া ছাড়াও হাজী কামাল মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে লোক পাঠান। এছাড়াও তিনি একজন টাইলস কন্ট্রাক্টর। অনেক টাইলস শ্রমিক তার সংস্পর্শে আসেন। সেই সুযোগে তিনি শ্রমিকদের প্রলুব্ধ করে বলেন- বাংলাদেশে তোমরা ৫০০-৮০০ টাকা আয় করতে পারো। কিন্তু লিবিয়ায় গেলে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করতে পারবা। লিবিয়াতে টাইলস মিস্ত্রীদের অনেক চাহিদা রয়েছে।
[৬] আটক কামালকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে লে. কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, কামাল শ্রমিকদের বলেছিলেন- লিবিয়াতে যাওয়ার আগে তাকে মাত্র ১ লাখ টাকা আমাকে দিবে এবং বাকি ৪ লাখ টাকা লিবিয়াতে পৌঁছানোর পর তোমার পরিবার আমাকে দেবে। এমন ফাঁদে ফেলে শ্রমিকদের বিদেশে পাঠান তিনি। পরে শ্রমিকরা লিবিয়াতে পৌঁছানোর পরে সেখানে অবস্থান করা অন্যান্য পাচারকারী দলের সদস্যরা ভিকটিমদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। এমনকি শারীরিক নির্যাতন করে। সেই নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।
আপনার মতামত লিখুন :