সালেহ্ বিপ্লব : [২] ভারতের তিনটি এলাকা নিজের বলে দাবি করছে নেপাল। ভারতের উত্তরখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা, এই তিন এলাকা মানচিত্রের অন্তর্ভূক্ত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে দেশটিকে। সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েও গত বুধবার পিছু হটে বিশাল ভারতের গায়ে লেগে থাকা ছোট্ট দেশটি। এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, সংবাদ প্রতিদিন, জিনিউজ
[৩] কিন্তু তিনদিন পর, গতকাল রোববার নেপালের জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিলটি আনা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল নেপালী কংগ্রেস আগের দিনই জানিয়ে দেয়, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির এ পদক্ষেপে তারা সমর্থন দেবে। সংসদে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে বিলটি পাস করানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস। তবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এখনো সরকারের পক্ষে দাঁড়ায়নি।
[৪] সমাজবাদী পার্টির প্রধান উপেন্দ্র যাদব বলেছেন, তারা এখনো বিলটির পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেননি। একই অবস্থানে রয়েছে দেশটির সমতল অঞ্চলের (মদেশিয়া জনগোষ্ঠী) প্রতিনিধিত্বকারী আরেকটি বড়ো দল রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি।
[৪] তবে আদি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মদেশিয়াদের বিরোধিতা সংসদে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিল পাস করাতে বেগ পেতে হবে না ওলির সরকারকে।
[৫] বিলটি জাতীয় সংসদে পেশ করেন নেপালের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শিবময় তুম্বাহাংহে। এই সংশোধনী পাস হলে নেপালের সংবিধান এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সংশোধিত হবে।
[৬] উত্তরাখণ্ড থেকে মানস সরোবর পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করছে ভারত। তাতেই বাধ সাধছে নেপাল। ওলি সরকারের দাবি, যে তিনটি জায়গার উপর দিয়ে এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে সেই কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পুয়াধুরা নেপালের এলাকা।
[৭] তিন এলাকায় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নতুন মানচিত্রও তৈরি করে ফেলে নেপাল। গত ২০ মে সেটি সংসদে তা পাসও করিয়ে নেয়। এখন নয়া মানচিত্রের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
[৮] বিতর্কিত এই বিলটি পাস হলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক খুবই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
[৯] বিলটি পাস করে আইনটি কার্যকর করতে বড়োজোর সপ্তাখানেক সময় লাগবে, এমনই জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম।