দেবদুলাল মুন্না:[২] রোববার রাত দশটার দিকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পৌছেছে স্পেস-এক্স’র ফ্যালকন রকেট। শনিবার রাত একটার দিকে নাসার দুই চৌকশ নভোচারী অ্যাস্ট্রো-বেনকেন ও অ্যাস্ট্রো-হার্লে দ্বিতীয় দফা রওয়ানা হন । স্পেসএক্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি সংস্থা।নেচার, এএফপি ও বিবিসি
[৩] আগামী ৬ থেকে ১৬ সপ্তাহ তাদেরকে আইএসএসের ভেতর অন্যান্য নভোচারীদের সঙ্গে থাকতে হবে। পৃথিবীতে ফেরার আগ মুহূর্তে তাদেরকে ক্রু ড্রাগন ছেড়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নামতে হবে প্যারাসুটে করে। সেখানে স্পেসএক্সের রিকভারি বোট গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করবে।প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রাইডেস্টাইন জানান, দুই নভোচারী পৃথিবীতে নিরাপদে না ফেরা পর্যন্ত তিনি কোনো সাফল্য উদযাপন করবেন না।
[৪] স্পেস এক্স প্রধান ইলন মাস্ক এএফপিকে বলেন,আমরা গর্বিত এই অভিযানের অংশ হতে পারছি। তবে তারা কবে পৃথিবীতে ফিরবেন সে বিষয়ে নাসা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
[৫] গত বৃহস্পতিবার এ দুই নভোচারীকে মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে অভিযান বন্ধ রাখা হয়।
[৬] প্রতি ঘণ্টায় ১৭ হাজার মাইল বেগে এই ড্রাগন ক্যাপসুল পাড়ি দিয়েছে। পৌঁছতে সময় লাগে ১৯ ঘণ্টা।
[৭] প্রথমবার ২০০৮ সালে ফ্যালকন ১ রকেট পাঠিয়েছিল স্পেস এক্স। পরে আরও কয়েকবার পাঠালেও সফল হয়নি। ২০১১ সালে স্পেস শাটল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) রাশিয়ান সয়ুজ যানের ওপর নির্ভর করে আসছিল।