মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাসের সংকটকালে সরকারকে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এন্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন।
[৩] রোববার এক ভাচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট আবদুল হক বারভিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
[৪] তিনি বলেন, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বারভিডার আমদানি করা যে ৮ হাজা গাড়ি ইয়ার্ডে রক্ষিত রয়েছে সেগুলোর এপ্রিল ও মে মাসের বন্দর ভাড়া মওকুফ করা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্যাকেজে বারভিডার জন্য ৫০০ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ করা হলে বন্দরে থাকা গাড়িগুলো ছাড়করণের শুল্ক ও কর বাবদ স্বল্পতম সময়ে সরকার এ ১০০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব পেতে পারে।
[৫] আবদুল হক বলেন, সরকার মহামারিকালীন সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করেছিল। যেহেতু বন্দর দু’মাস বন্ধ ছিল তাই আমদানিকৃত গাড়িগুলো ছাড়করণের ক্ষেত্রে ঐ দু’মাসের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করতে বারভিডা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে। অতিতেও বিপর্যয়কর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বন্দর ভাড়া মওকুফ এবং শুল্ক কর মওকুফ করে দেয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
[৬] জানানো হয়, দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাদের সামর্থ রয়েছে তারা গণপরিবহন সীমিত থাকার এ সময়টিতে গাড়ি কেনার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। এতে করে এ খাতের ব্যবসায়ীরা যেমন হতাশামুক্ত হবেন, তেমন মোটরযান বাণিজ্য খাতে স্থবিরতা কাটিয়ে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি হবে।
[৭] আরও জানানো হয়েছে, রিকন্ডিশন্ড এবং নতুন গাড়ির শুল্কায়ন মূল্যে নানা বৈষম্যের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির শুল্ক কর কোন কোন ক্ষেত্রে দ্বিগুণ পড়ে যাচ্ছে। এর ফলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির চাহিদা ও ক্রেতা কমে যাওয়ায় আমদানি ক্রমাগতভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন।
আপনার মতামত লিখুন :