আনিস তপন : [২] রোববার ঢাকা সদরঘাটে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল ও যাত্রী সুরক্ষা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণকালে এসব কথা বলেন।
[৩] এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
[৪] জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য জেলায় যারা রয়েছেন তাদের প্রয়োজন খুব বেশি না হলে রাজধানীতে আসার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, আপনাদের-আমাদের সকলের করোনা ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকা সদরঘাটসহ অন্যান্য নদীবন্দরেও যাত্রীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জীবানুনাশক টানেল’ বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো ১৪টি জীবনুনাশক টানেল বসানো হবে।
শুধু টানেল স্থাপন করলেই হবে না, মালিক ও শ্রমিকদেরকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। করোনাতে ভয় নয়, সচেতনতার মাধ্যমেই করোনা জয় করতে হবে।
[৫] লঞ্চে ডেকের যাত্রীদের জন্য মার্কিং করা হয়েছে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রয়েছে লঞ্চে। টিকিট কেটে লঞ্চে যাত্রী পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের এটাই সময় ও সুযোগ।
[৬] প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াকর্মী, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সবাই করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সাধারণ ছুটির ৬০ দিনে দেশে আইনশৃংখলার কোথাও অবনতি ঘটেনি। এটা সরকারের সাফল্য।
[৭] এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ হয়েছে, মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবং বিভিন্ন রকম কার্যক্রম থাকার পরও ৯৫ ভাগ মানুষ নির্দেশনা মেনে চলেছে। মাত্র ৫/৭ মানুষ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও কোথাও বিশৃংখলা হয়নি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশে সাময়িক ছুটি বাতিল করে সরকার ১৫ তারিখ পর্যন্ত একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। গণপরিবহন সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
[৮] প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচলের বিষয়টি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরামর্শক কমিটি ও জাতীয় কমিটির পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।