আনিস তপন : [২] শনিবার এসব নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপি অধিদফতরের মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক, টিএমসির (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) পরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
[৩] এতে বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দিতে হবে।
[৪] করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের নির্দেশনা দিয়ে আদেশে আরো বলা হয়েছে, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব এবং ব্যাপক বিস্তাররোধে সকল পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ১৩টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আবাসিক স্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের জন্য দুটি নির্দেশনা প্রদান করেছে।
[৫] গত ২৮ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক আদেশে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ১৫টি শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত করা হয়েছে। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আলাদা প্রজ্ঞাপনে শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যাবলি ও জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ/সীমিতকরণ করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
[৬] আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আলাদাভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আবাসিক স্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনে এক সদস্য থেকে অন্য সদস্যদের কমপক্ষে চার থেকে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, প্রয়োজনে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
[৭] ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ অনুসারে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকারের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রতিপালন বা অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ না করা এই আইনের অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ মোবাইল কোর্ট আইনে তফসিলভুক্ত।
[৮] জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথা- সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, দায়িত্ব পালনকালে এবং ঘরে থেকে বের হলে মাস্ক পরিধান করা ইত্যাদিসহ সর্বসাধারণের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :